ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

গোপালগঞ্জের রেকর্ডভুক্ত জমি নড়াইলের দখলে!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২২
গোপালগঞ্জের রেকর্ডভুক্ত জমি নড়াইলের দখলে!

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের রেকর্ডভুক্ত জমি নড়াইল জেলায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।  

সোমবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর সরসপুর, গোপালপুর ও চরপুকুরিয়া গ্রামবাসী এ কর্মসূচি পালন করেন।

গোপালপুর খেয়াঘাট সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও সমাবেশে তিন গ্রামের পাঁচ শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেন।  

এসময় তারা গোপালগঞ্জের রেকর্ডভুক্ত জমি নড়াইল জেলায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বিভিন্ন কথা লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।  

চলাকালে উরফি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির গাজী, অ্যাভোকেট মো. আজিজুর রহমান, ওমর আলী বিশ্বাস, খোরশেদ মিয়াসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ওমর আলী বিশ্বাস বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষের বসতভিটা গোপালগঞ্জ জেলায়। যুগ যুগ ধরে আমরা এখানে বসবাস করছি। এখান থেকে গোপালগঞ্জ শহর ছয় কিলোমিটারের মতো দূরে। কিন্তু নড়াইল জেলা শহর প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে। নড়াইল জেলার মানুষদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। আমাদের দাবি, আমরা গোপালগঞ্জ জেলায় থাকতে চাই, নড়াইল জেলায় নয়।

একই গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ মিয়া বলেন, আমরা গোপালগঞ্জ জেলার মানুষ, গোপালগঞ্জ জেলায় থাকতে চাই। আমরা নড়াইল জেলায় যাব না।

অ্যাভোকেট মো. আজিজুর রহমান বলেন, আমরা প্রায় দেড়শ’ বছর ধরে গোপালগঞ্জে বসবাস করছি। আমার দাদা ও বাবার কবর এখানে। সিএস রেকর্ড, আরএস রেকর্ড, বিআরএস রেকর্ড, এসএ রেকর্ড-এ আমাদের গোপালগঞ্জে অন্তর্ভুক্ত করে রেকর্ড করা হয়েছে। কিন্তু আন্তঃজেলা সীমানা নির্ধারনের নামে নড়াইল ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমরা জানি না। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উরফি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির গাজী বলেন, গোপালগঞ্জের মধুমতি নদীর তীরবর্তী অংশ কেটে নড়াইল জেলায় অর্ন্তভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। এসব গ্রামের মানুষ নড়াইল জেলায় যেতে চান না।  

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোপালগঞ্জের ভূমি কোনোভাবেই অন্য জেলার অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।