ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

কম্বোডিয়ায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২২
কম্বোডিয়ায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

ঢাকা: ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে সাড়ম্বরে ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫১তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ আয়োজনে স্বাগতিক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কম্বোডিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
 
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কম্বোডিয়ার সেক্রেটারি অব স্টেট কোয়ে কুয়ং। উভয় দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসী রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই তার বক্তব্যের শুরুতেই স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি আরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারত, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতা ও কূটনীতিবিদদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

রাষ্ট্রদূত ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্বেলনে কম্বোডিয়ার  জাতির পিতা প্রিন্স নরোদম সিহানুকের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সভার কথা স্মরণ করে ২০১৪ ও ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের সফরের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক অনন্য মাত্রা পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের  আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-কম্বোডিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আগামী দিনে নতুন উচ্চতায় যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।  

অনুষ্ঠানে কম্বোডিয়ার সেক্রেটারি অব স্টেট কোয়ে কুয়ং তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে তার দেশের প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের অত্যন্ত ইতিবাচক মনোভাবের কথা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের ৫১ বছরের উন্নয়ন যাত্রায় এবং দেশ গঠনে জনগণ ও বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সফল নেতৃত্বের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

তিনি কম্বোডিয়ায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালনের এ উদ্যোগের জন্য সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে দুই দেশের এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কম্বোডিয়াও দায়িত্বপ্রাপ্ত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ০৮, ২০২২
টিআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।