ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

হাওরে বাঁধ ভাঙেনি, অতিরঞ্জিত খবর প্রচার করা হচ্ছে 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২২
হাওরে বাঁধ ভাঙেনি, অতিরঞ্জিত খবর প্রচার করা হচ্ছে 

সুনামগঞ্জ: পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, হাওরে কোথাও বাঁধ ভেঙে পানি ঢোকেনি। বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করেছে।

তবে তিনটি বেড়িবাঁধে স্লিপ করেছে। হাওরের ফসল রক্ষায় ১৪টি নদী খনন করা হবে।

এসব নদী খনন হলে অকাল বন্যা থেকে হাওরের ফসল রক্ষার সম্ভবনা রয়েছে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় সুনামগঞ্জের হাওরের বোরো ফসল রক্ষা হয়েছে। তিনটি জায়গায় বাঁধ ভেঙে কিছু ফসলের ক্ষতি হলেও সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় ফসল রক্ষা পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়া হাওরের ভুরাখালি এলাকার ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক আরও বলেন, আগামীতে হাওরের ফসল রক্ষায় আমরা মহা পরিকল্পনা নিয়েছি। এক হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওর রক্ষায় ১৪টি নদী খননসহ বেশ কিছু উদ্যাগ নেওয়া হয়েছে। আগামী বন্যার আগে এর সুফল পাওয়া যাবে। নদী ও খাল খননের মাধ্যমে নাব্যতা বাড়লে বাঁধ উপচে পানি হাওরে ঢুকবে না।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি। সুনামগঞ্জ জেলায় ৭২৭টি ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ রয়েছে। তার মধ্যে তিনটি বাঁধে সামান্য ক্ষতি হয়েছে।  

সাংবাদিকরা অতিরঞ্জিত করে হাওরে বাঁধ ভেঙে ফসল ডুবির খবর প্রচার করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরার আহ্বান জানান।  

পরে প্রতিমন্ত্রী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষকে হাওরে এসে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে প্রকল্প তৈরির নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনের সময় পাউবো মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, পাউবো অতিরিক্ত মহাপরিচালক মাহবুর রহমান, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, সিলেট জোন এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, সিলেট সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান হারুন রাশীদ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জগন্নাথপুরের ১২০ হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি হাওরে পানি ঢুকে বোরো ফসল তালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আমরা প্রতিনিয়ত হাওর পর্যবেক্ষণে আছি। হাওরের পাকা ধান তাড়াতাড়ি কাটতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।