ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শ্রীলঙ্কায় শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব নেই বলে তাদের এই অবস্থা: প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
শ্রীলঙ্কায় শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব নেই বলে তাদের এই অবস্থা: প্রতিমন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জ: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, করোনায় যখন সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে, আমাদের পার্শবর্তী দেশ শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে গেছে ঠিক সেই মুহুর্তে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দ্রুতগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। অনেকে বলেন শ্রীলঙ্কাকে দেখে আমরা যেন সাবধান হই।

শ্রীলঙ্কায় শেখ হাসিনার মত সাহসী দূরদর্শী সৎ নেতৃত্ব নেই বলে আজ তাদের এই অবস্থা।

তিনি বলেন, ‘দেশ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতির কারণে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেখান থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। সারা বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে অনুসরণ অনুকরণ করছে। ’

রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল অ্যামিউজমেন্ট পার্কে (নম পার্ক) শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমি শৈশব কৈশর থেকে শামীম ভাইয়ের ভক্ত। তিনি আমাকে বলেছেন নারায়ণগঞ্জের জন্য কিছু করতে। আমি আমাদের সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের কাছে আবেদন করেছিলাম। আপনারা দেখছেন অনেক জেলায় হবার কথা থাকলেও এক সঙ্গে হচ্ছে না কারণ সব জেলায় শামীম ওসমানের মতো লোক নেই। শামীম ওসমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা চমৎকার একটি জায়গা পেয়েছি আর এটি করতে পারছি। বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা বইয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সেখানে ওসমান পরিবারের কথা আমি পড়েছি।  

সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই আমাদের বলেছিলেন, একজন ক্ষুধার্ত মানুষকে যদি আহারের জন্য একটি মাছ দেন তাহলে তার এক বেলার খাবার হবে অথচ যদি তাকে মৎস্য শিকার করা শিখিয়ে দেন তাহলে তার সারাজীবনের খাবার হবে।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে কেউ তো কখনো এতো পরিকল্পনা দেননি উন্নয়নের। দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়। তাই আমাদের তরুণ সমাজের পক্ষ থেকে তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এক সময়ে বাংলাদেশে একটি মোবাইল কোম্পানি ছিল তার মালিকানা ছিল বিএনপির একজন মন্ত্রীর। তখন একটি কোম্পানি থাকায় অনেক বেশি টাকা নেওয়া হতো কলচার্জে। পরে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দেশে একের পর মোবাইল কোম্পানি আসায় প্রতিযোগিতা শুরু হলে সবকিছুর দাম কমে আসে। ২০০৪ সালে যখন স্যামসাং কোম্পানি বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল তখন বিএনপির হাওয়া ভবনের কু-প্রস্তাব দুর্নীতির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। তারা তখন ফিরে গিয়ে ২০০৭ সালে ভিয়েতনামে বিনিয়োগ করেছিল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ১৭ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হয়।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলাম, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১১ জেলা) প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম আব্দুল্লাহ খান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোল বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
এমআরপি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।