ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনা জিরোপয়েন্টে ফুটওভারব্রিজে বসবে চলন্ত সিঁড়ি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
খুলনা জিরোপয়েন্টে ফুটওভারব্রিজে বসবে চলন্ত সিঁড়ি

খুলনা: খুলনা জিরোপয়েন্টকে দৃষ্টিনন্দন করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অর্থের অনুমোদন পাওয়া গেছে। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে শহরের প্রবেশমুখী এই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দৃষ্টিনন্দন করার কাজ খুব শিগিগিরই শুরু হবে।

ফুটওভারব্রিজে স্থাপন করা হবে চলন্ত সিঁড়ি।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সামনে জিরোপয়েন্ট থেকে গল্লামারী পর্যন্ত চারলেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত সড়ক ডিভাইডার, দৃষ্টিনন্দন ফুটওভারব্রিজ, ড্রেন কাম ফুটপাথ নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ের অগ্রগতি নিয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সড়ক বিভাজন (রোড ডিভাইডার) দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে যানবাহন প্রবেশ ও বের হওয়ার সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় জায়গা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. খো. মাহফুজ উদ দারাইন, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুর রাজ্জাক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমান এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্সের প্রধান প্রকৌশলী মো. হেদায়েতুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটক, আইইআর, বিপরীতে সরকারি দেলদার আহমেদ স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার ও আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের পারাপারে একটি সুবিধা সৃষ্টির বিষয়টি উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে প্রস্তাবিত ফুটওভারব্রিজ এবং ড্রেন কাম ফুটপাথ নির্মাণের অগ্রগতি সম্পর্কেও জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সভায় চলমান জিরোপয়েন্ট থেকে গল্লামারী চারলেন প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে যানবাহন প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রেখেই সড়ক বিভাজন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটে একটি জায়গা স্থানান্তর যোগ্য বিবাজন দিয়ে শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে যানবাহন প্রবেশ ও বের হওয়ার সুযোগ রাখা এবং বিপরীতমুখী দুটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের পারাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ সময় তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রস্তাবিত দৃষ্টিনন্দন ফুটওভারব্রিজে ওঠানামা সহজীকরণের জন্য সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের দিক-নির্দেশনা মোতাবেক চলন্ত সিঁড়ি সংযোজন করা হচ্ছে। ফলে এর ডিজাইন সংশোধন ও সংযোজন করতে ব্যয় বাড়ছে। এ কারণে ফুটওভারব্রিজটির নির্মাণকাজ আগামী অর্থবছরে শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া চলমান এ প্রকল্পটি সংশোধিত প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে পাঠানো হয়েছে। যা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আশা করেন আগামী জুন মাসের মধ্যে জিরোপয়েন্ট থেকে ময়লাপোতা পর্যন্ত কালভার্টসহ প্রথমস্তর কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হবে। যার ফলে যানবাহন চলাচলের পথ সুগম হবে।

তিনি আরও জানান, জিরোপয়েন্টকে দৃষ্টিনন্দন করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অর্থের অনুমোদন পাওয়া গেছে। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে জিরোপয়েন্টকে ঘিরে শহরের প্রবেশমুখী এই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দৃষ্টিনন্দন করার কাজ খুব শিগিগিরই শুরু হবে।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রস্তাবিত ফুটওভারব্রিজে চলন্ত সিঁড়ি সংযোজন করার ব্যাপারে দিক-নির্দেশনা দেওয়ায় সিটি মেয়র এবং খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্যকে উপাচার্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

পরে উপাচার্যের সঙ্গে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অন্যান্যরা সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে চলমান সড়ক বিভাজনের কাজ পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
এমআরএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।