ঢাকা, রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ট্রেনে তুলনামূলক স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদযাত্রা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, মে ১, ২০২২
ট্রেনে তুলনামূলক স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদযাত্রা

ঢাকা: ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছেড়ে অসংখ্য মানুষ নাড়ির টানে ফিরছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। কেউ রেলযোগে কেউ আবার বাসযোগে যাত্রা করছেন।

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ট্রেনের টিকিট তুলনামূলক সহজে পাওয়া গেছে। যাত্রীরা স্বল্প ভোগান্তিতে কাঙ্ক্ষিত টিকিট সংগ্রহ করেছেন। তবে টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই অনলাইনে টিকিট পাওয়া যায়নি। তা নিয়ে টিকিটপ্রত্যাশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এবার ট্রেনে গাদাগাদি ভিড়ও কম থাকায় যাত্রীরা ট্রেনে স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রা করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন।  

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের টেলিকম বিভাগে চাকরি করেন মো. হারুন অর রশিদ। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। তিনি নোয়াখালীর কোনো টিকিট কাটতে পারেননি। পরে বাধ্য হয়ে লাকসামের টিকিট সংগ্রহ করেছেন।

বাংলানিউজকে হারুন বলেন, গত ২৬ এপ্রিল অনলাইনে শত চেষ্টা করেও নোয়াখালীর কোনো টিকিট সংগ্রহ করতে পারিনি। পরে বাধ্য হয়ে ২৭ এপ্রিল অনলাইনে লাকসামের একটি টিকিট সংগ্রহ করতে পেরেছি। আজ চট্টলা এক্সপ্রেসে লাকসাম গিয়ে সেখান থেকে বাসে করে নোয়াখালী যাব।

তিনি বলেন, ঢাকায় চাকরি করি। কিন্তু পরিবারের টানে বাড়ি যাচ্ছি। ঈদের ছুটিতে আমরা ভাই-বোনসহ সবাই একসঙ্গে ঈদ করতে চাই। এখন সহিসালামতে বাড়ি পৌঁছাতে পারলেই শুকরিয়া।

গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল। তার পরিবার থাকে নোয়াখালীতে। বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে সোহেল অপেক্ষা করছিলেন ট্রেনের জন্য।

বাংলানিউজকে সোহেল বলেন, গত ২৭ এপ্রিল অনলাইনে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দেখি শোভন চেয়ার কোচের কোনো টিকিট নেই। সেদিন সকাল ৮টা থেকে টিকিটের সার্ভার ছিল বিকল। পরে চেষ্টা করে উপকূল এক্সপ্রেসে নোয়াখালীর একটি টিকিট সংগ্রহ করতে পেরেছি। এখন কোনো ঝামেলা ছাড়া বাড়ি যেতে পারলেই হয়।

রোববার (১ মে) সকালে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে টিকিটধারী যাত্রীদের অনেক চাপ দেখা গেছে। অনেকেরই ট্রেন দুপুরে থাকলেও স্টেশনে আগে থেকেই এসে অপেক্ষা করছিলেন।

কিছুক্ষণ পর পর এক একটি ট্রেন বিমানবন্দর স্টেশনে আসছে আর তখনই শুরু হয় যাত্রীদের ছোটাছুটি। ট্রেন থামতেই হুড়মুড় করে যাত্রীরা উঠে পড়ছেন নিজেদের নির্ধারিত বগিতে।

বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের ভেতরে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ, এপিবিএন, কমিউনিটি পুলিশ সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যদের অবস্থান রয়েছে। বিনা টিকিটে যাতে কোনো যাত্রী ট্রেনে ভ্রমণ করতে না পারে সেদিকে নজরদারি করছে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ।

বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. হালিমুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, এবারের ঈদে যাত্রীদের সুবিধার্থে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। যাত্রীরা যাতে হয়রানি ছাড়াই তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন সেদিকে আমাদের নজরদারি রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২২
এসজেএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।