ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২২
বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক

গাইবান্ধা: নব্যতা সংকটের কারণে গাইবান্ধায় বালাসী-বাহাদুরাবাদ ঘাট নৌরুটে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ হওয়ার দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টা পর চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

রোববার (৮ মে) সকাল ৯টা থেকে ওই রুটে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।

এর আগে ওই রুটে চলাচলরত দু’টি লঞ্চ চরের বালিতে আটকে যাওয়ায় শনিবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, আটকে যাওয়া লঞ্চ দু’টির নিচ থেকে বাল্কহেড দিয়ে বালি অপসারণ করে লঞ্চ দু’টিকে বাহাদুরাবাদ ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  

পরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) দায়িত্বরত প্রকৌশলী নির্ধারিত নতুন রুট দিয়ে রোববার সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল করছে। তবে নিয়মিতভাবে এই রুটে ড্রেজিং ব্যবস্থা চালু না রাখলে যে কোনো সময় ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, পাঁচটি লঞ্চ চলাচলের কথা থাকলে চলছে মাত্র দু’টি লঞ্চ। এছাড়া লঞ্চ সার্ভিস চালুর সময় চারটি ড্রেজার মেশিন দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও তা দেওয়া হয়নি।  

বালাসী-বাহাদুরাবাদ ঘাট রুটে পরীক্ষামূলকভাবে লঞ্চ সার্ভিস চালুর প্রায় দু’মাসের মাথায় এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল।

লঞ্চ চালকরা জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র নির্ধারিত চ্যানেলটা বালি দিয়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় এ রুটে চলাচলরত লঞ্চ দু’টি আটকা পড়েছিল।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর চাপ কমানো এবং উত্তরবঙ্গের আট জেলার সঙ্গে যাতায়াত সহজ করতে বালাসী-বাহাদুরাবাদঘাট রুটে পরীক্ষামূলকভাবে গত ০৮ মার্চ লঞ্চ সার্ভিসের উদ্ধোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।  

এর আগে, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) এক সভায় বালাসীঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত রুটটি আবারও চালু করে ফেরিঘাট নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রকল্পটির প্রথম ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। পরে দু’বার সংশোধন করে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে ১৪৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা খরচ করে বাস টার্মিনাল, টোল আদায় বুথ, পুলিশ ব্যারাক, ফায়ার সার্ভিস ও আনছার ব্যারাকসহ বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়।  

কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ’র কারিগরি কমিটি হঠাৎ করে নাব্যতা সংকট ও ২৬ কিলোমিটার বড় দূরত্বের নৌপথসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে রুটটি চলাচলে অনুপযোগী বলে প্রতিবেদন দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।