ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে ৩ প্রতিষ্ঠান সিলগালা-জরিমানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
সিলেটে ৩ প্রতিষ্ঠান সিলগালা-জরিমানা

সিলেট: আট বছর ধরে লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনার দায়ে সিলেট ইন ডেন্টাল ক্লিনিক অ্যান্ড সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে।

রোববার (২৯ মে) বিকেলে নগরের চিকিৎসকপাড়া খ্যাত স্টেডিয়াম মার্কেটে যৌথভাবে অভিযান চালায় সিলেট জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন, সিটি করপোরেশন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, কাগজপত্রহীন ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরিচালিত বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডেন্টাল ক্লিনিক ও ফার্মেসির বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। এছাড়া অভিযানে নগরের দরগাহ গেট এলাকার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসি বন্ধ করা হয়। এরমধ্যে আশশেফা মেডিক্যাল সার্ভিসেস ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আশশেফা ফার্মেসিকে সিলগালা করা হয়। এরমধ্যে ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্স এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।  

এদিকে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ।  অভিযানে বিশ্বনাথ উপজেলার মা মনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১৫ হাজার এবং সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  

অধিদপ্তরের সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ বাংলানিউজকে জানান, বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের মা মনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১৫ হাজার এবং সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গবেষণাগারে বিভিন্ন টেস্টের বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণ (রিএজেন্ট) পাওয়ায় জরিমানা করা হয়।

এদিকে সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, অভিযানে সিলগালাকৃত প্রতিষ্ঠান ‘সিলেট ইন-ডেন্টাল ক্লিনিক ও সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ ২০১৪ সাল থেকেই লাইসেন্সবিহীন পরিচালিত হচ্ছিলো। আশশেফা মেডিক্যাল সার্ভিসেস ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আশশেফা ফার্মেসিরও কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। যে কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করা হয়। এছাড়া সুখের হাসি ও সূর্যের হাসি ক্লিনিকেরও কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র নেই। এটিও নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিচালিত হচ্ছিলো। কিন্তু রোগী ভর্তি থাকার কারণে মানবিক বিবেচনায় তাদের ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। একই দিনে ভার্তখলা এলাকায় মা ও শিশু ক্লিনিকে অভিযানে গেলে কর্তৃপক্ষ আগেই প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।

 তিনি বলেন, অভিযানে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তারা অনলাইনে আবেদন করলেও এখনো রেজিস্ট্রেশন পায়নি। তাই তাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। এভাবে শত শত প্রতিষ্ঠান অনলাইনে আবেদন করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও স্বীকার করেন তিনি। এদিন বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান পরিচালিত হলেও সেগুলোর পুরো খবর হাতে এসে পৌঁছায়নি।   

সিলেট নগরের স্টেডিয়াম মার্কেটের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মার্কেটে অভিযানের খবর পেয়ে অবৈধভাবে চলা অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসি ও চিকিৎসক চেম্বার বন্ধ করে সটকে পড়েন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
এনইউ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।