গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ধুসর বটতলায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি হয়েছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কোটালীপাড়াগামী স্টার লাইন পরিবহনের একটি কোচ রোববার রাতে ওই স্থানে পৌঁছালে যাত্রীবেশে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ডাকাতরা যাত্রীদের মারধর করে মালামাল, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হক বাসডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়াগামী স্টার লাইন পরিবহনের একটি কোচ যাত্রীর ছদ্মবেশে থাকা ৭ জনের একটি ডাকাতদল ক্ষুর, চাকুসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাসের চালক ও যাত্রীদের জিম্মি করে মালামাল, নগদ টাকা, ল্যাপটপ ও মোবাইল নিয়ে মহাসড়কের ধুসর বটতলা এলাকায় থামিয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, রাস্তায় হট্টগোল শুনে আমরা দ্রুত  সেখানে পৌঁছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারি। এ সময় বাসে থাকা সব যাত্রীর মোবাইল ফোন নম্বর ও ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করি। বাসটিতে মোট ২১জন টিকিটধারী যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৬ জন ফরিদপুরে নেমে যান। পরে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসার পর এই ঘটনা ঘটে। ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

বাসচালক মোহাম্মাদ আল বলেন, ভাঙ্গায় যাত্রী নামিয়ে রওয়ানা দিতেই পেছন থেকে ডাকাতরা এসে আমার গলা চেপে ধরে উঁচু করে আমাকে ইঞ্জিন কভারে টেনে তুলে তারা বাসের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এরপর আমার কাছে থাকা মোবাইল ফোনে কেড়ে নিয়ে আমাকে বাসের পেছনের সিটে বসিয়ে রাখে।

ওই বাসের যাত্রী বিকেএসপির কর্মচারী আব্দুল্লাহ বিন ওবায়েদ বলেন, ‘আমি নবীনগর কাউন্টার থেকে বিকেল ৫টায় বাসে উঠি। বাস ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে হঠাৎ করে ৬/৭ জন লোক চালককে সরিয়ে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। এরপর তিনজন আমাদের জিনিসপত্র, টাকা ও স্বর্ণালংকার কেড়ে নিয়ে ধুসর এলাকায় এসে তারা বাস থেকে নেমে যায়।

নারী বাসযাত্রী সুবর্ণ দেবনাথ বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। ডাকাতরা এসে বলে কাছে যা যা আসে দিয়ে দে। পরে আমার কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য অনেক জবরদস্তি করে। পরে আমি খুলে দিতে বাধ্য হই। আমার কাছে থাকা নগদ ৭ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোনও তারা ছিনিয়ে নিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
এমএমজেড