ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

পেশিশক্তিতে জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না: ইসি আলমগীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
পেশিশক্তিতে জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না: ইসি আলমগীর ফাইল ছবি

ঢাকা: পেশীশক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

মঙ্গলবার (৩১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, পেশিশক্তি ব্যবহার করে কেউ যদি নির্বাচিত হবার স্বপ্নে দেখে, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। নির্বাচনী দায়িত্বপালনে যদি প্রশাসনের কারও অবহেলা পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে যদি অন্য প্রার্থীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হবে।

তিনি বলেন, পেশিশক্তি ব্যবহার করে বিজয়ী হব, জনগনের সেবা করব- এইটা যদি কেউ মনে করে থাকে, তাহলে অত্যন্ত ভুল করছেন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না।

ভোটে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় ইসি ভবনের সামনে হাতে বিষ আর কাফনের কাপড় জড়িয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ২৭ পদপ্রার্থীর অবস্থান প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটা আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে প্রথম শুনলাম। কর্মকর্তাও বললেন। আমরা তাদের বলেছি, উনাদের যদি কেউ থাকে তাহলে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসেন।

বাধাহীনভাবে নির্বাচনী প্রচার ও সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নোয়াখালীর দুটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। মঙ্গলবার সকালে ২টি ইউনিয়নের মোট ২৭ জন প্রার্থী কাফনের কাপড় ও বিষের বোতল হাতে নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, বাধা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। যেকোনো উৎস থেকে যদি তথ্য পাই, যে প্রার্থীদের বাধা দেওয়া হয়েছে, ভোটারকে বাধা দেওয়া হয়েছে অথবা নমিনেশন পেপার সাবমিট করতে দেওয়া হয়নি; তাহলে প্রথমে আমরা যেটা করি শিডিউলটাকে (নির্বাচনের তফসিল) আমরা স্থগিত করে দেই। এতে অন্য প্রার্থীরা নমিনেশন জমা দিতে পারে। যদি এমন হয়, ওইখানে প্রার্থী নিরাপদ নয় তাহলে পাশ্ববর্তী জেলা বা উপজেলায় তাদের নমিনেশন সাবমিট করার সুযোগ দেই।

তিনি আরও বলেন, প্রার্থী, ভোটারদের নিরাপত্তা এবং তাদের প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া; এইগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। দায়িত্ব পালনে কারও অবহেলা পেলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।  

ইসির সামনে অবস্থান নেওয়া প্রার্থীদের দাবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সার্কেল এসপিকে প্রত্যাহার করা। এ বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, প্রত্যাহার তো সমাধান না। এখানে কার দায়িত্বহীনতা আছে সেটা আমরা দেখবো। একটা জিনিস বুঝতে হবে, প্রশাসনে যারা থাকে তাদের সংখ্যা খুবই অল্প। এটা যদি প্রশাসনের নাকের ডগায় হয় তাহলে এক জিনিস, আর যদি হয় দূরে, সেটা আরেক জিনিস। কারণ প্রশাসনতো সবার বাড়ি বাড়ি থাকতে পারবে না। যদি দেখা যায় ঘটনা অনেক দূরে হয়েছে, প্রশাসনে বাইরে বা সম্মুখে না,  অথবা এমন একটা সময় ঘটনা হয়েছে, যেখানে প্রশাসন দূরে ছিল। তখন তো আর প্রশাসনের করার কিছুই থাকছেনা। সামনে কিছু ঘটলেও প্রশাসন সেখানে যদি নিশ্চুপ থাকে তাহলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব।

তিনি আরও বলেন, ভোটে কেউ বাধা দিলে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা হবে। আপনারা দেখবেন প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে কি-না। কেউ যদি পেশিশক্তি প্রয়োগ করে তাহলে ইসি তার ক্ষমতাবলে মামলা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া ও ভোট বাতিল করে দেওয়া বা প্রার্থীর (অভিযুক্ত) প্রার্থীতা বাতিল করতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
ইইউডি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।