ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

৭ কমিউনিটি ক্লিনিকের পুরোনো ভবন কম দামে নিলাম!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২২
৭ কমিউনিটি ক্লিনিকের পুরোনো ভবন কম দামে নিলাম! অভিযুক্ত কর্মকর্তা

শেরপুর: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন সরকারি সাতটি কমিউনিটি ক্লিনিকের পুরোনো ভবন অপসারণের নিলামে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।  

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নির্মাণ অধিশাখার নির্মাণ কমিটি সরেজমিন পরিদর্শন করে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর জরাজীর্ণ ভবন নিলামের প্রাক্কলন মূল্য নির্ধারণ করে।

এসব ভবন অপসারণের উদ্যোগ নিতে গঠিত ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক আহমেদ ও ঠিকাদার মিলে মাত্র এক লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ এর দাম অন্তত চার লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ওপেন নিলাম সম্পন্ন হয়।

ভবন অপসারণ নিলামের বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ঠিকাদাররা উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঘাইলারা, সোহাগপুর, সন্ন্যাসিভিটা, দোহালিয়া, ডহরিয়াপাড়া, বালুঘাটা ও কালাকুমা কমিউনিটি ক্লিনিকের পুরোনো ভবন অপসারণের জন্য প্রকাশ্যে নিলাম আহ্বান করা হয়। বহুল প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক আহমেদ, মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে সাতটি কমিউনিটি ক্লিনিকের পুরোনো ভবন অপসারণের জন্য নিলাম ডেকে স্থানীয় তিনটি পরিবারকে নামমাত্র মূল্যে দিয়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ঠিকাদার বাবুল মিয়া, হারুন অর রশিদ, দেলোয়ার হোসেন রিপন উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।  
চেয়ারম্যান এ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেখে এ নিলাম বাতিল ও দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু বলেন, আমি উপজেলা পরিষদের সভাপতি ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির উপদেষ্টা আমাকে না জানিয়ে সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা একটি গোষ্ঠীর স্বার্থে এ নিলাম কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। এ নিলাম বাতিল ও তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছি।

অভিযুক্ত ডা. তৌফিক আহমেদ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে উন্মুক্ত নিলামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কে না জানানোটা ভুল হয়েছে, এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছি।

শেরপুরের সিভিল সার্জন ও নিলাম কমিটির আহ্বায়ক ডা. অনুপম ভট্টাচার্জ বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই ওপেন নিলাম ডাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি না জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ভুল করেছেন। পরে যাতে এমন ভুল না হয়, এর জন্য তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।