ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট, কাজ বন্ধ করে দিল এলাকাবাসী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৬ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট, কাজ বন্ধ করে দিল এলাকাবাসী

যশোর: যশোরের চৌগাছা উপজেলার আড়াপাড়া-আড়কান্দি দুই কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।  

মঙ্গলবার (১৪ জুন) এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

এক কোটি ৯২ লাখ টাকায় ২ কিলোমিটার সড়কটি উন্নয়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।  চৌগাছার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেবা ট্রেডার্সের প্রোপাইটার রফিকুল ইসলাম মুকুল ও আড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম যৌথভাবে কাজটি করছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার বলার পরও খুবই নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তাটি করা হচ্ছে। রাস্তার ম্যাকাডমের ফাইনাল লেয়ার করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফার্স্টক্লাস ইটের বদলে ভাটার কাঁদা, ময়লা, ধুলাবালুযুক্ত ব্যাটস (ভাঙা ইট) ও তিন নম্বর ইট (স্থানীয় ভাষায় আমাইট) নিয়ে আসা হয়েছে।  সেগুলো থেকে খোয়া ভাঙার কাজ চলছে। অথচ উপজেলা প্রকৌশল অফিসের কোনো প্রতিনিধি সেখানে নেই। নিয়মানুযায়ী কাজ করার সময় উপজেলা প্রকৌশল অফিসে জানিয়ে তাদের প্রতিনিধি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। সেটি না করেই খারাপ ইট দিয়ে এই কাজ করতে থাকেন ঠিকাদার।

খারাপ ইট নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সোমবার ওই ইউনিয়ন পরিষদে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আজাদ রহমান খান সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে এই ইট দিয়ে কাজ না করার জন্য বলেন। তবুও ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম মঙ্গলবার সকালে লেবার দিয়ে ওই নিন্ম মানের ইট দিয়ে খোয়া তৈরি শুরু করেন। তখন স্থানীয়রা বাধা দেয়।  

ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম কাজ করার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তখন ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম এ সময় স্থানীয়দের বলেন আজাদ রহমান তার কাছে চাঁদা চেয়েছেন। তবে এর কিছুক্ষণ পরেই আজাদ রহমান ঘটনাস্থলে এসে সহিদুল ইসলামের মুখোমুখি হন। তিনি স্থানীয় জনসাধারণের সম্মুখে ঠিকাদারকে বলেন, আমি কি আপনার কাছে চাঁদা চেয়েছি তখন ঠিকাদার সহিদুল ইসলাম কথা ফিরিয়ে নেন।

এক পর্যায়ে ঠিকাদার বোঝাতে চেষ্টা করেন রাস্তাটির কাজ করলে তার ২৫ লক্ষ টাকা লস হবে। তবুও এলাকার স্বার্থে কাজ করে দিচ্ছেন।

আড়পাড়া-আড়কান্দি সাইটের এলজিইডির কার্য-সহকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, তারা কাজের সাইটে যান। ওই ঠিকাদাররা কথা শুনতে চাচ্ছেন না। বারবার তাদের ভালোমানের ইট কাজের সাইটে নিতে বলা হলেও তারা নিচ্ছেন না।  

চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, কাজের সাইটে নিম্নমানের ইট নিয়ে গেলে তা মানা হবে না। সঠিক মানের ইট দিয়েই রাস্তাটি করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে সাইটে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
ইউজি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।