ঢাকা: রাজধানীর কদমতলী, শাহবাগ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকা থেকে মোবাইল চোর চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)।
অভিযানে বিপুল পরিমাণ চোরাই মোবাইল সিম ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়৷
রোববার (১৯ জুন) দুপুরে র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (অপস্ ও ইন্ট শাখা) পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. রাসেল (৩১), মো. ফরহাদ হোসেন (২৮), আশরাফুল ইসলাম (৪৮), আবুল কাশেম (২৮), মো. মিলন (৪৮), মো. সুলতান (২৭), মো. রাজু (৩০), তৈয়ব আলী (৪০), শাওন ফকির (২১) ও মো. নাদিম (৩৫)।
বীণা রানী দাস বলেন, র্যাব-৩ গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, মোবাইল চোর সিন্ডিকেট চক্র রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ মোবাইল কেনা-বেচার বানিজ্য নিয়ে তৎপর। তারা এসব মোবাইল ফোন বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ভাসমান দোকানে গোপনে বিক্রি করে আসছে। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি এবং ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোনের ছিনতাইকারী চক্র সুকৌশলে নানা সিন্ডিকেট হোতার সঙ্গে যোগসাজশে এসব চোরাই মুঠোফোন কেনা-বেচায় জড়িত রয়েছে।
তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৮ জুন) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর কদমতলী, শাহবাগ এবং নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল চোরচক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে গ্রেফতার আসামিদের কাছ থেকে টাচ মোবাইল ১৪৭টি, বাটন মোবাইল ২৯১টি, ট্যাব ২টি, সিমকার্ড ২টি এবং নগদ ৩৫ হাজার ৩২০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার বলেন, গ্রেফতার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা মূলত ছিনতাই/চোরাইকৃত মোবাইল ফোন অল্প দামে কিনে সুযোগ বুঝে বেশি দামে বিক্রি করে। আসামীরা প্রত্যেকেই মুঠোফোন ছিনতাই/চোর চক্রের সদস্য এবং চোরাই ও ছিনতাইকৃত মোবাইল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, ছিনতাইকারীদের প্রধান টার্গেট থাকে পথচারীদের মোবাইল। এসব মোবাইল স্বল্পদামে চোরাই মোবাইল কারবারিদের কাছে বিক্রি করে আসছে। এছাড়াও এসব মোবাইল স্বল্প আয়ের গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
এসজেএ/এসএ