ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ জুলাই ২০২৪, ২৪ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বন্যা: ফুলগাজীর ৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
বন্যা: ফুলগাজীর ৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ

ফেনী: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ফেনীর ফুলগাজীতে সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।  

স্কুলগুলো হলো- জয়পুর নুরুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর দৌলতপুর একরাম নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম ঘনিয়া মোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিসমত ঘনিয়া মোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বৈরাগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে ভারী বর্ষণে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত সোমবার (২০ জুন) ফেনীর মুহুরী-কহুয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১.২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও মঙ্গলবার (২১ জুন) তা বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে।  

 এতে ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী নদীর বেঁড়িবাধের চারটি স্থান ভেঙে ১৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুরের একটি স্থানে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে উত্তর দৌলতপুর, মধ্যম দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, বরইয়া এবং দেড়পাড়ায় আরও একটি স্থান ভেঙে দেড়পাড়া, নিলক্ষ্মী, উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর, ঘোষাইপুর গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

পানির তোড়ে ভাঙনকবলিত গ্রামসমূহের অনেক বসতঘর, পুকুরের মাছ ও বীজতলা ক্ষতিগস্ত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছরেই বর্ষা মৌসুম এলে অতি বর্ষণে ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ওইসব স্থান দিয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে তাদের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। এতে ঘরবাড়ি, শত শত পুকুরের মাছ ও ফসল পানির তোড়ে ভেসে যায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবছর ভাঙন স্থান নাম মাত্র মেরামত হলেও বাঁধের কোনো স্থায়ী সমাধান হয় না। তাদের দাবি, নদী শাসনের মাধ্যমে সংস্কার করা হলেই নদী ভাঙন রোধ সম্ভব হবে।

স্থানীয় জনগণ ভাঙনকবলিত এলাকায় কোনো সাহায্য নয়, বাঁধের স্থায়ী সমাধান চায়।

পানি উন্নায়ন বোর্ড, ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, মুহুরী-কহুয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
এসএইচডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।