ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

লবণ ছাড়া চামড়া আসছে ট্যানারিতে, দাম কম দেওয়ার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২২
লবণ ছাড়া চামড়া আসছে ট্যানারিতে, দাম কম দেওয়ার অভিযোগ লবণ ছাড়া চামড়া আসছে ট্যানারিতে

সাভার (ঢাকা): কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানোর পরপরই প্রত্যেককে নিজ উদ্যোগে লবণ মাখিয়ে তা সংরক্ষণের আহবান জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অধিকাংশ চামড়া লবণ ছাড়াই ট্যানারিগুলোতে নিয়ে আসা হচ্ছে।

ফলে ট্যানারি থেকে চামড়ার দাম কম দেওয়া হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।  

সোমবার (১১ জুলাই) সকালে সাভারের চামড়া শিল্পনগরী ট্যানারিতে আসা চামড়াগুলোর বেশিরভাগই লবণ ছাড়া দেখা গেছে ।

এর আগে রোববার (১০ জুলাই) ট্যানারিগুলোতে দুপুরের পর থেকে ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁচা চামড়া আসতে শুরু করেছে।

চামড়া নিয়ে আসা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে চামড়ার দাম কম দিয়ে ক্রয় করছে ট্যানারির মালিকরা। তবে এসব অভিযোাগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে ট্যানারি মালিকরা জানান, লবণ ছাড়া চামড়া, রক্তমাখা নিয়ে আসার কারণে আলাদা করে শ্রমিক দিয়ে চামড়াগুলোকে পরিষ্কার করতে হচ্ছে। তাই চামড়ার দাম কম হচ্ছে।

মানিকগঞ্জ থেকে ২৫০ পিস গরুর চামড়া নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ী আফতাব। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি পিস চামড়া গড়ে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেনা পড়েছে আমার, কয়েকটা ট্যানারিতে ঘুরলাম, ট্যানারিগুলো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দাম দিতে চাইছে। এই দামে চামড়া দিলে পুরোই লোকসান হবে আমাদের।

তার চামড়াগুলো লবণ মাখানো কি না? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ঈদের দিন চামড়া পাইছি আর কিনে আনছি। কোনো চামড়াতে তো লবণ লাগানোর সময় পাইনি।

সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে অবস্থিত আঞ্জুমান ট্যানারির প্রজেক্ট ডিরেক্টর জহিরুদ্দিন্ন সরকার বলেন, রোববার দুপুরের পর থেকেই আমাদের এখানে চামড়া আসতে শুরু করেছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত ৪০ হাজারের মতো চামড়া আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি। তবে এসব চামড়ার অধিকাংশই রক্তমাখা ও লবণ ছাড়া। তাই নিয়ে আসার পর আমাদের শ্রমিকরাই চামড়াগুলো সংরক্ষণে লবণ মাখাতে শুরু করেছেন। আমরা সরকার নির্ধারিত মূল্যেই চামড়া সংগ্রহ করছি।

চামড়ার মূল্য কম দেওয়ার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সালমা ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যেই আমরা প্রতিটি চামড়া ক্রয় করছি। গত বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে কোরবানির মৌসুমে ট্যানারিগুলো প্রায় ৮৫ লাখ কাচা চামড়া সংগ্রহ করে। তবে এ বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ১ কোটি চামড়া সংগ্রহের টার্গেট আমাদের ।  আশা করছি এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমরা চামড়া সংগ্রহ করতে পারবো। ট্যানারিগুলো বলছে, এ বছর প্রতিটি গরুর কাঁচা চামড়া ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় ক্রয় ক্রয় করা হচ্ছে, লবণ মাখানো চামড়া আসতে শুরু করলে তার দাম আরও বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, ১১ জুলাই, ২০২২

এসএফ/ইআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।