ফরিদপুর: ফরিদপুরে একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে সবুজ ঢালি (২৩) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর আগে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে মায়ের কাছে চলে যাওয়ার কথা চিরকুটে লিখে যান তিনি।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাত ১০টার দিকে জেলা শহরের গোয়ালচামট হাউজিং এস্টেটের একটি ফ্লাট বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সবুজ ঢালি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার বানিয়া গ্রামের আব্দুল হাসেম ঢালির ছেলে।
নিহতের ভাবি লিজা বেগম বলেন, গত চার মাস আগে এই ফ্ল্যাটে ভাড়া উঠেছি। আর তিন মাস ধরে দেবর সবুজ আমাদের সঙ্গে থাকেন। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে একসঙ্গে খাবার খেয়ে আমি পার্লারে কাজে চলে যাই। পরে বিকেল ৪টার দিকে সবুজ আমাকে কল করে জানতে চায় কিছু রান্না করতে হবে কিনা আর আমার বাসায় যেতে দেরি হবে কিনা? এতই ছিল তার সঙ্গে শেষ কথা।
সবুজের ভাই জসিম ঢালি বলেন, বউ বাচ্চা আর ছোট ভাইকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতাম। রাত ৮টার দিকে বাড়ির মালিকের ছেলে ফোন করে জানান যে আমার বাচ্চারা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর বাসার দরজা ভিতর থেকে আঁটকানো থাকায় তারা ঘরে ঢুকতে পারছে না। তাদের মা পার্লারে চাকরি করায় তিনিও বাসায় নেই। এ খবর পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফেলে রেখে বাসায় ছুটে এসে দরজা ভেঙ্গে ছোট ভাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই।
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর আগে একটি চিরকুটে সবুজ লিখেছে 'আমি খারাপ তাই চলে গেলাম। সবাই আমাকে মাফ করে দিবেন। আমি জানি না আমার কি হবে? ০১৬০৮****** নম্বরে আমি ওর কাছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পাই। ভাই মাফ করে দিবেন। আমি মায়ের কাছে চলে গেলাম। ' এটাই ছিল তার শেষ কথা।
কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার বাংলানিউজকে জানান, বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাসার ডাইনিং রুমের ফ্যানের হুকের সঙ্গে লাইলন রশিতে ঝুলে দিয়ে সবুজ আত্মহত্যা করেছেন। এ সময় পাশের রুমের ওয়ার্ডড্রপের ওপর রাখা নিহতের মানিব্যাগের মধ্যে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। এ ব্যপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২২
এফআর
