ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল আরও ২৬ হাজার পরিবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল আরও ২৬ হাজার পরিবার ফাইল ছবি

ঢাকা: আশ্রয়ণ প্রকল্পের ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য জমি ও গৃহ প্রদান’ কর্মসূচির আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছে আরও ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবার।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘর হস্তান্তর করেন।

এসময় দুটি জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের এ কার্যক্রমের ফলে পঞ্চগড় এবং মাগুরা জেলায় আর কোনো গৃহহীন-ভূমিহীন নেই।

আরও মজবুত করতে নতুন এ ঘরগুলোতে আরসিসি পিলার, গ্রেড ভিম, টানা লিংকটারসহ বেশ কিছু বিষয় সংযোজন করা হয়েছে।

প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে এখন পর্যন্ত বিতরণ করা ঘরের সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি। এ পর্যন্ত একক গৃহের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরমাণ ৪ হাজার ২৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙন কবলিত ভূমি-গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘আশ্রয়ণ’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পের আওতায় কয়েক লাখ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়সহ সমাজের পিছিয়ে পড়া ভাসমান বিভিন্ন জনগোষ্ঠীও রয়েছে।

১৯৯৭ সাল থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত শুধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৭০টি পরিবারকে পুর্নবাসন করা হয়েছে।  

১৯৯৭ সাল থেকে আশ্রয়ণ এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়/সংস্থার মাধ্যমে ৭ লাখ ১২ হাজার ২৬৩ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পরিবার প্রতি ৫ জন হিসেবে এতে উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৩১৫ জন।

ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং লক্ষ্মীপুর, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ, পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলা থেকে উপকারভোগীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা গণভবনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী উপকারভোগী এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
এমইউএম/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।