মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৩৭৩টি ভূমিহীন পরিবার দেওয়া হয়েছে জমিসহ আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে একযোগে ভূমিহীনদের আশ্রয়ন প্রকল্পের এ ঘরের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
মুজিববর্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষে তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে জেলার সদর উপজেলায় ৩০টি, সিংগাইর উপজেলায় ১৫০, সাটুরিয়া উপজেলায় সাত, শিবালয় উপজেলায় ২৮, ঘিওর উপজেলায় ৩০, হরিরামপুর উপজেলায় তিন এবং দৌলতপুর উপজেলায় ১২৫টি ঘর পেয়েছে এসব ভূমিহীন পরিবার।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গৃহহীন পরিবারের মাঝে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রসাসক (রাজস্ব) মহসিন মৃধা। এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইকবাল হোসেন, ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আসমাউল হুসনা লিজা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইরফানুল হক, দিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যন আফসার উদ্দিন আহাম্মেদ রাজা, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক (সদর) খলিলুর রহমান প্রমুখ।
মুজিববর্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে মানিকগঞ্জের ঘিওর ও সাটুরিয়া উপজেলা 'ভূমিহীন মুক্ত' হতে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের প্রেস নোট থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, মানিকগঞ্জে মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন (ক-তালিকা) পরিবারের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪৩৩টি। পরবর্তীতে বাছাই ও হালনাগাদ করে মোট এক হাজার ৪৪৬টি পরিবারকে সুবিধাভোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৯৪টি, সিংগাইরে ৪৯৭, সাটুরিয়ায় ৫৯, শিবালয়ে ১৪৪, ঘিওরে ১০৫, হরিরামপুরে ১২৪ এবং দৌলতপুর উপজেলায় ২২৩টি ঘর রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে জেলায় ১৩৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৫৫টি, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প ও ব্যক্তি উদ্যোগে ১৩টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে প্রথম ধাপে ৮৮টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৭৩টি ঘর নির্মাণ নির্মাণ করা হয়। এছাড়া তৃতীয় পর্যায়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত আরও ১৫৭টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে জেলায় মোট বরাদ্দপ্রাপ্ত ঘরের সংখ্যা এক হাজার ২১টি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জুন মাস থেকে ‘ক’ তালিকাভুক্ত অর্থাৎ ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। স্থানীয় জন প্রতিনিধি যেমন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য থেকে শুরু করে শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মাধ্যমে আবেদন সংগ্রহ করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সেই তালিকা যাচাই-বাছাই করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
এফআর