ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শাবিপ্রবিতে ছুরিকাঘাতে নিহত বুলবুলের বাড়িতে শোকের মাতম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২২
শাবিপ্রবিতে ছুরিকাঘাতে নিহত বুলবুলের বাড়িতে শোকের মাতম বুলবুল আহমেদ।

নরসিংদী: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্র নিহত বুলবুল আহমেদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে  চলছে শোকের মাতম। বুকের ধনকে হারিয়ে বুলবুলের মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।

বুলবুলের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন স্বজন, এলাকাবাসী ও বন্ধুরা।

নিহত বুলবুল আহমেদ নরসিংদী শহরের ভেলানগর এলাকার মৃত উহাব মিয়ার ছেলে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে বুলবুল ছিল সবার ছোট। তিনি ২০১৮ সালে নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরে বুলবুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগে ভর্তি হয়। বর্তমানে তিনি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের ২১৮ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বুলবুরের নিহত হওয়ার খবর বাড়িতে এলে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরিবারের সদস্যদের কান্না ও আহাজারিতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। আদরের ছেলেকে হারিয়ে মা ইয়াসমিন বেগম বিলাপ করছিলেন। কোনোভাবেই তাকে সান্ত্বনা দিতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা।

পরে রাতেই বুলবুলের বড় ভাই জাকারিয়া এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেয়। এসময় জাকারিয়ার সঙ্গে থাকা হাবিবুল্লাহ নামে একজন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেটের উদ্দেশে যাচ্ছি। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে বুলবুলের এমন নির্মম মৃত্যু আমরা কেউ মেনে নিতে পারছি না। ওর বড় ভাই গাড়িতে এখনও কান্না করছে। আমরা প্রথমে হাসপাতালে যাবো তারপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসবো।

সাকিব নামে বুলবুলের এক বন্ধু বলেন, বুলবুল খুবই মেধাবী ছিল। পড়ালেখা শেষ করে পরিবারের পাশে ধারানোর ইচ্ছে ছিল তার। মাত্র এক বছর আগে তার বাবা মারা গেছেন। এখন তার মৃত্যু পরিবার কীভাবে শোক সামলাবে। আমরা অবিলম্বে বন্ধু হত্যার বিচার চাই।

সাস্টের নরসিংদী জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ক্যাম্পাসের ভেতরে সহপাঠীর এমন নির্মম মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমরা এখন ক্যাম্পাসে অবস্থান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বুলবুল হত্যার বিচার দাবি করতেছি এবং বুলবুলের পরিবারকে প্রশাসনের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করছি।

জানা যায় সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে গাজী কালু টিলা লাগোয়া ‘নিউজিল্যান্ড’ এলাকায় ছুরিকাঘাত করা হয় বুলবুলকে। পরে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।