ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ছিল ত্যাগে, ভোগে নয়: পলক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ছিল ত্যাগে, ভোগে নয়: পলক

নাটোর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ছিল ত্যাগের, ভোগের নয়। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাংলাদেশের মহা মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে দুইটা।

একটা হচ্ছে বাংলার মাটি, আর একটা হচ্ছে বাংলার সোনার মানুষ। তিনি দেশের মানুষকে কখনো বোঝা মনে করেননি। বরং বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু ঘাতকরা তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। ১৫ আগস্টে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় তৈরি করেছিল ঘাতকরা। তবে তিনি তার জীবদ্দশায় দেশে উন্নয়নের ধারা সূচনা করে গেছেন। আজ তারই পথে হাঁটছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলায় পরিণত করতে চান। সেই লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশের জন্য নিঃস্বার্থ, নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

সোমবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় নাটোরের সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

সিংড়া দমদমা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত শোক সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মো. ওহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত চলনবিলবাসীর অন্ধকার সময় কেটেছে। উন্নয়ন ছিল না, মানুষের নিরাপত্তা ছিল না। গ্রামে গ্রামে গণডাকাতি হতো। মানুষরা আতঙ্কে থাকতো, সন্ধ্যার পরে আমরা চলনবিলের মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পারতাম না। রাতের বেলায় হারিকেন, হেজাক, টস লাইট নিয়ে পাহাড়া দিতে হয়েছে গ্রামে গ্রামে।

তিনি বলেন, আজকে চলনবিলের মানুষদের জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের পাশাপাশি সুশাসন উপহার দিয়েছেন। একদিকে আমাদের পাকা রাস্তা, অপরদিকে ঘরে ঘরে বিদুৎ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। আমাদের গ্রামে গ্রামে আধুনিক ইন্টারনেটের সংযোগ, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ, মন্দিরে, উন্নত পাকা প্রাথনার ব্যবস্থা এবং সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ সন্তানেরা যেন প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে, তার জন্য স্কুলে স্কুলে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টার থেকে হাজার রকমের সেবা জনগণ পাচ্ছে যাতে করে একটা সরকারি সেবা পাওয়ার জন্য একটা গ্রামের মানুষকে শহর মুখী হতে না হয়। তার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।  

তিনি বলেন, দলের সব নেতাকর্মীকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সব ষড়যন্ত্রের বিষ দাঁত ভেঙে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

এসময় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসসহ আরও অনেকে।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী কুমগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইটালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক সভায় ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

সেখানে আরও বক্তব্য দেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মো. ওহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, ইটালী ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন প্রমুখ।

সকাল ১০টায় সিংড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, ইউএনও এম. এম সামিরুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনাসভায় যোগ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।