ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বুস্টার ডোজ গ্রহণের ৬ মাস পরেও শরীরে এন্টিবডি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২২
বুস্টার ডোজ গ্রহণের ৬ মাস পরেও শরীরে এন্টিবডি

ঢাকা : করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণের ৬ মাস পরেও গ্রহীতার শরীরে এন্টিবডি পাওয়া গেছে। তবে সব ক্ষেত্রে এর পরিমাণ কমে গেছে।

এক গবেষণা থেকে এ ফলাফল পাওয়া গেছে।

সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে এ সংক্রান্ত এক গবেষণা ফলাফল অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের পৃষ্ঠপোষকতায় গবেষণাটি পরিচালিত হয়।

গবেষণায় তৃতীয় (বুস্টার) ডোজ গ্রহণের ৬ মাস পর শরীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি এন্টিবডির মাত্রা পরিমাপ করা হয়। গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন বিএসএমএমিউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।

লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারিতে বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ৬০ কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬৪ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২০ লাখের বেশি কোডিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ২৯ হাজারের বেশি মানুষ। এ অতিমারির বিপর্যয় প্রতিরোধে সারা বিশ্বব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম চলমান আছে।

করোনা প্রতিরোধী টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার এক মাস পরে পরিচালিত গবেষণায় ২২৩ জনের মাঝে ৯৮ শতাংশের শরীরে এন্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া যায়। যারা আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের শরীরে তুলনামূলক বেশি এন্টিবডি পাওয়া গিয়েছিল।

টিকা নেওয়ার ৬ মাস অতিবাহিত হলে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এন্টিবডির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। ৩০ জন টিকা গ্রহীতাকে দেখা যায় ৭৩ শতাংশের এন্টিবডির মাত্রা হ্রাস পেয়ে গড় এন্টিবডির মাত্রা ৬৭৯২ এইউ/এমএল থেকে ৩৯৬৩ এইউ/এমএল এ নেমে এসেছিল। দুজন টিকা গ্রহীতার দেহে পর্যাপ্ত এন্টিবডি পাওয়া যায়নি।

বুস্টার গ্রহণের ১ মাস পরে শতভাগ অংশগ্রহণকারীদের দেহেই এন্টিবডি পাওয়া যায়। প্রায় সকলের ক্ষেত্রেই এন্টিবডির মাত্রা ফের বৃদ্ধি পেয়ে এন্টিবডির মাত্রা দাঁড়িয়েছিল ২০৮৭৮ এইউ/এমএল।

বুস্টার গ্রহণের ৬ মাস পরেও শতভাগ অংশগ্রহণকারীদের দেহেই এন্টিবডি পাওয়া যায়। কিন্তু প্রায় সকলের ক্ষেত্রেই মাত্রা কমে গড় এন্টিবডির মাত্রা দাঁড়ায় ১০৬৭৫.৭ এইউ/এমএল। এর মধ্যে যাদের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস আছে, তাদের ক্ষেত্রেই এন্টিবডির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। রক্তের প্যারামিটার গুলোয় (হিমোগ্লোবিন, প্লেটলেট সহ অন্যান্য) উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি।

টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা, কার্যকারিতা এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এন্টিবডি কমে যাওয়ার প্রমাণ এ গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যে পাওয়া যায়। যারা বয়স্ক বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অধিকারী তাদের ক্ষেত্রে এবং সাধারণ জনগণের ক্ষেত্রে পুনরায় বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এ ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিধির যথাযথ অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ সময় : ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২২
আরকেআর/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।