ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

কক্সবাজারের ২ হাজার নেতাকর্মীর পদচারণায় মুখরিত টুঙ্গিপাড়া

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২
কক্সবাজারের ২ হাজার নেতাকর্মীর পদচারণায় মুখরিত টুঙ্গিপাড়া টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলসহ নেতাকর্মীরা।

৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দুই হাজার নেতাকর্মী নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত করলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।

বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় প্রতিবছর রামু স্টেডিয়ামে যে বড় মেজবানের আয়োজন করা হতো সেই মেজবানও হয়েছে ঐতিহাসিক টুঙ্গিপাড়ায়।

এর আগে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত নয়টার দিকে ৫০টি বাসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুই হাজার নেতাকর্মী নিয়ে রামু থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন এ সংসদ সদস্য।

বৃহস্পতিবার সকালে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে দুপুর ১২টার দিকে নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর জেয়ারত শেষে ইছালে সওয়াব মাহফিল ও মেজবানে অংশ নেন।

সাইমুম সরওয়ার কমল বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস এবং আগস্টের শহীদদের স্মরণে রামু স্টেডিয়ামে অর্ধশতাধিক গরু জবাই করে মেজবানের আয়োজন করা হতো। যেখানে অংশ নিতেন তৃণমূলের হাজারো নেতাকর্মী। এ বছর আয়োজনটি আমরা করেছি টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে।  

তিনি বলেন, সকালে ৫০টি বাসে নেতাকর্মীরা টুঙ্গিপাড়ায় নামলে মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ সফরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অনেকেই আছেন যারা এবার প্রথম টুঙ্গিপাড়ায় এসেছেন। বঙ্গবন্ধুর কবর জেয়ারত করতে পেরে তারা মহাখুশি।  

আমি ৯৬ সালেও এখানে এসেছি। জাতীর পিতার মৃত্যুর পর এখানে তাঁর দাফন কাফনেও বাধা দেওয়া হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের নির্দেশে বঙ্গবন্ধুর জানাজায় যেন মানুষ আসতে না পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু কালক্রমে এই টুঙ্গিপাড়া এখন জাতির ঠিকানা হয়ে গেছে।

এদিকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারতের সুযোগ পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন তৃণমূলের অনেক প্রবীণ নেতা।

দুর্গম জনপদ ঈদগড়ের মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক রেজা বলেন, অনেক দিনের আশা ছিল, বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করার। আজ সেই আশা পূরণ হলো। এ রকম মহৎ উদ্যোগের জন্য সংসদ সদস্য কমলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর নাম শুনলেই আমার শরীরে অন্য রকম শিহরণ হয়। আমার জীবদ্দশায় তাঁর স্মৃতি ভোলার নয়।

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর অনেক স্মৃতি এ কথা জানিয়ে এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু রামু রাবার বাগানে দুইবার আসেন। আমি বরাবরই তাঁর খুব কাছে ছিলাম। আজ বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

‘টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত অনেক নেতাকর্মীর জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।  সংসদ সদস্য কমলের এই মহৎ উদ্যোগের কারণে হাজারো নেতাকর্মীর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ’ বললেন রামু প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ।

তিনি বলেন, এই সফর শুধু মহামানবের কবর জিয়ারত নয়, দলের নবীন প্রবীণ হাজারো নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নতুন কিছু জানতে পেরেছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২২
এসবি/এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।