ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ধর্ম দুর্বৃত্তদের জবাব দেওয়ার হাতিয়ার হতে পারে সার্কাস: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
ধর্ম দুর্বৃত্তদের জবাব দেওয়ার হাতিয়ার হতে পারে সার্কাস: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

ঢাকা: সৃজনশীল কর্মের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যবহারকারী ও দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করতে সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মন্ত্রী বুধবার রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে সরকারি অনুদানে নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য লক্ষণ দাস সার্কাস’ এর প্রিমিয়ার শো উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

মোজাম্মেল হক বলেন, সরকার বিরোধী পাকিস্তানপ্রেমী মৌলবাদীরা পাকিস্তান আমলে ধর্ম গেল গেল বলে বেড়াতো, সে গোষ্ঠীর একটি অংশ এখনো সক্রিয় রয়ে গেছে। তাদের জবাব দেওয়ার অন্যতম মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে সার্কাস, নাটক, চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড।

এ সময় স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, চিত্তবিনোদনের জন্য খুব জনপ্রিয় মাধ্যম ছিলো সার্কাস। আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর আগে আমি চতুর্থ শ্রেণিতে থাকাকালীন প্রথম সার্কাস দেখি। তারপর প্রতিবছর নিয়মিত সার্কাস দেখতাম। তখন গাজীপুরে রথযাত্রা উপলক্ষে নিয়মিত সার্কাস প্রদর্শন করা হতো। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সে সার্কাস আজ অনেকটাই হারিয়ে গেছে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, চলচ্চিত্র যদিও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন, তথাপি সংস্কৃতির উপাদান হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান দিতে শুরু করেছে। অনুদানের পরিমাণও তুলনামূলক বেশি। ইতোমধ্যে জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদানে প্রামাণ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে।

স্মৃতিচারণ করে কে এম খালিদ বলেন, আমাদের ছোটবেলায় কমলা সার্কাসের খুব নামডাক ছিল। সার্কাস শিল্পীদের তারের ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া, হাতি, বাঘ দেখে খুব আনন্দ উপভোগ করতাম। মৌলবাদীদের উৎপাতে সার্কাস অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে।


নাট্যজন অনন্ত হীরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মানজারে হাসীন মুরাদ। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহিন ইসলাম এনডিসি, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. নিজামুল কবীর ও সূর্য দীঘল বাড়ি খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহ উদ্দিন শাকের। অনুভূতি ব্যক্ত করেন দ্য লক্ষণ দাস সার্কাস প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও পরিচালক ঝুমুর আসমা জুঁই। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
এইচএমএস/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।