ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেঘনায় বজ্রপাতে জেলে নিখোঁজ, আহত এক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
মেঘনায় বজ্রপাতে জেলে নিখোঁজ, আহত এক

চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার আখনের হাট এলাকায় মেঘনা নদীতে মাছ ধরে ঘাটে আসার সময় বজ্রপাতে মনসুর আহমেদ (৩৮) নামে জেলে পানিতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে।  

একই ঘটনায় আহত হয়েছেন মনসুর আহমেদের বড় ভাই আলী আহম্মদ হাওলাদার (৪৫)।

তিনি বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাছ ধরার ট্রলারটি ঘটনাস্থল আখনের হাট এলাকা থেকে হরিণা মাছঘাটে আসার সময় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ জেলে মনসুর ও আহত আলী আহম্মদ হাওলাদার সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের গোবিন্দিয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ির ফজল হাওলাদারের ছেলে। জেলে নৌকার মালিক একই এলাকার জহিরুল ইসলাম রাঢ়ী। তিনিও ট্রলারে ছিলেন।

হরিণা ফেরিঘাট মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী আবুল কাশেম কালু হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলে মেঘনা নদীর আখনের হাট এলাকা থেকে জহিরুল ইসলামসহ ৮ জেলে হরিণা ঘাটের দিকে রওনা হয়। ট্রলার চলতি অবস্থায় হঠাৎ বজ্রপাত হলে মনসুর আহত হয়ে পানিতে পড়ে যায় এবং পাশে থাকা তার ভাই আলী আহম্মদ গুরুতর আহত হয়। তাকে আমরা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। তার চিকিৎসা চলছে। তবে তিনি কানে শুনতে পাচ্ছেন না এবং তার ডান পা ঝলসে গেছে।

হানারচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার রাঢ়ী বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আহত জেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। অপর জেলেকে উদ্ধারের জন্য সাড়ে ৩টার দিকে চাঁদপুর নৌ ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও ডুবুরি এসেছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ জেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। স্থানীয়ভাবেও জেলেরা তার সন্ধান করছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চাঁদপুর নদী স্টেশনের লিডার প্রণব বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে এসেছি। আমাদের ডুবুরিরা নিখোঁজ জেলের উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।