ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আশুলিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবসার জেরে সংঘর্ষ, আহত ৫

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২২
আশুলিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবসার জেরে সংঘর্ষ, আহত ৫

সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবসা দখলে নিতে গিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।

শনিবার (০১ অক্টোবর) সকালে আশুলিয়া থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার জান্নাত মীর ইন্টারনেট সার্ভিসের ব্যবস্থাপক শাহীন আলম ও অপর পক্ষের বকুল ভূঁইয়া।

এর আগে, শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়ায় মীর বাড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- জান্নাত মীর ইন্টারনেট সার্ভিসের কর্মচারী মো. রাব্বী, মূসা ও ছানি এবং অপর পক্ষের সোহেল ও মারুফ।

জান্নাত মীর ইন্টারনেট সার্ভিসের ব্যবস্থাপক শাহীন আলম বলেন, সন্ত্রাসী রনি ভূঁইয়া দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের ইন্টারনেট ব্যবসা অবৈধ ভাবে দখলের পায়তারা করে আসছে। শুক্রবার তার লোকজন নিয়ে জামগড়া ব্রুকহিল মার্কেট ও আশরাফ প্লাজা এলাকার ইন্টারনেট সংযোগের তার কেটে দেয়। পরে আমরা পুনরায় সংযোগ দিলে রাতে লাঠি, রড, লোহার পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রনিসহ ১৫-১৬ জন লোক আমাদের অফিসে হামলা করে। এসময় রাব্বী, মূসা ও ছানি নামে অফিসের তিন কর্মচারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। একই সময় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে আশপাশের চারটি দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে দোকানীদের মারধর করে চলে যায় তারা। পরে আমার অফিসের তিন কর্মচারীকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় রনি ভূইয়া, ডি.এক্স আল আমিন, ইয়াসিন মোল্লা, মো. মিরাজ, মো. নাহিদ ও শহিদুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-১৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।

অপর পক্ষের অভিযোগকারী বকুল ভূইয়া বলেন, আমার ছেলে রনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাকে মিথ্যা ভাবে ফাঁসাতে এসব করা হচ্ছে। শুক্রবার ওরাই আমার মার্কেটে এসে দোকানপাট ভাঙচুর করছে। দুই-তিনজনরে মারধর করছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। রাজনীতিক গেম চলছে ভাই। সেই ফাঁদে পড়ে আজ আমার ছেলের এই অবস্থা।

স্থানীয়রা জানান, সুমন মীর ও রনি ভূইয়া দুইজনেই এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। কয়দিন পর পরই তাদের মধ্যে মারামারি হয়। তাদের জন্য আতঙ্কে থাকে লোকজন।  

শাহীন আলমের অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল মামুন বলেন, শুক্রবার রাতে জামগড়া এলাকায় ডিউটি করার সময় মারামারির ঘটনা দেখতে পাই। লাঠিসোটা হাতে দলবদ্ধ হয়ে তারা বিভিন্ন যানবাহনে আঘাত করছিল। পরে আমি ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এসময় জানতে পারি তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বকুল ভূঁইয়ার অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা একই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে আমাদের এসআই মাসুদ রানা ভাই উপস্থিত ছিলেন সেখানে। দুই পক্ষই আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে যেটা তদন্তে পাবো সেই ভাবে ব্যবস্থা নেব।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২২
এসএফ/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।