ঢাকা, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দেশের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার: পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
দেশের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার: পরিকল্পনামন্ত্রী

ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন আমরা দেশে উন্নয়নের অদম্য গতিকে অব্যাহত রাখতে চাই। এ জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকাস্থ 'ময়মনসিংহ বিভাগ সমিতি ‘ময়মনসিংহ বিভাগ বাস্তবায়ন: বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এ আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজর আছে। দেশ চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তারপরও উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। ময়মনসিংহ বিভাগের উন্নয়নে কোনো প্রকল্প নেওয়া হলে তা বাস্তবায়ন করা হবে। আর এই বিভাগের যেসব সীমাবদ্ধতা আছে তা বেশি দিন থাকবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, যে কাজ করে তার ব্যর্থতা থাকবেই। তেমনি আমাদেরও হয়তো কিছু ব্যর্থতা রয়েছে। আর কিছু ব্যর্থতা থাকলেও সফলতাও যে নেই তা না। বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তির দিক থেকে উন্নত হয়েছে। নদীমাত্রিক দেশে ময়মনসিংহের নদীগুলোকে রক্ষা করায় উদ্যোগ নিতে সরকার কাজ করছে। আগামীতে দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এই বিভাগেরও অনন্য উন্নতি হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ‘ময়মনসিংহ বিভাগ সমিতি, ঢাকার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদ। এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেগুলো হচ্ছে- প্রাকৃতিক জলাধার ও পরিবেশ ঠিক রেখে নবগঠিত শহর স্থাপন করতে হবে; প্রাকৃতিক পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় এমন স্থাপনা নির্মাণ বা পরিকল্পনা নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বন্যা সহনশীল স্থাপনা নির্মাণ এবং এলিভেটেড স্থাপনা নির্মাণ করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। ন্যূনতম পরবর্তী ২০ বছরের কথা চিন্তা করে নগর পরিকল্পনা করতে হবে; নদী খনন পূর্বক খননকৃত মাটি নবগঠিত শহরের জমি ভরাট করার কাজে ব্যবহার করতে হবে; নতুন শহরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদে তিনটি সেতু (জিরো পয়েন্ট, খাগডহর ও বর্তমান রেল ব্রিজের নিকটস্থ এলাকায়) নির্মাণ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে নদী শাসন করে ব্রিজ ছোট করা যাবে না। নদীর প্রশস্থতা অনুযায়ী ব্রিজের দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করতে হবে; সরকারি আবাসিক এলাকাগুলোতে খেলার মাঠ, পুকুরসহ পর্যাপ্ত খোলা জায়গা রাখতে হবে। পর্যটন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন শহরে যাদুঘর স্থাপন করতে হবে এবং পর্যটকদের জন্য নৌ ভ্রমণের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

সভায় সুপারিশগুলো করা হয়- বিভাগীয় সদর দপ্তর স্থাপনের প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে পিডি নিয়োগসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করা; ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর তিনটি সেতু স্থাপন কাজ ত্বরান্বিত করা; বর্তমান রেলব্রিজের নিকটস্থ এলাকায় ব্রিজ স্থাপন; শহর সম্প্রসারণের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের অপর পাড়ে কম জমি অধিগ্রহণ করে একটি পরিকল্পনা নেওয়া; ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর স্থাপিত শম্ভুগঞ্জ সেতুর বাস্তবায়ন জরুরিভাবে করা; নতুন বিভাগীয় সদর দপ্তর বা নতুন বিভাগীয় শহরে পর্যটনের জন্য একটি উন্নতমানের জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা; ব্রহ্মপুত্র নদ বর্তমানে ১০০ মিটার প্রশস্ততায় খনন চলছে, নাব্যতার জন্য ২০০ মিটারে প্রশস্ত করা এবং ব্রহ্মপুত্র নদে নৌ পর্যটন সৃষ্টি করা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
এইচএমএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।