ঢাকা: রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে জীবন ধারণ করে থাকে ৭০ বছরের বয়োজ্যেষ্ঠ বাদল মিয়া। ওই এলাকায় হঠাৎ তিনি সিএনজির ধাক্কায় আহত হন।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যার পরে নিউমার্কেট এলাকায় বাদল মিয়াকে একটি সিএনজি ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। তখন তার এই চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প কর্মরত কনস্টেবল মানিক মিয়া।
ওই কনস্টেবল মানিক বয়োজ্যেষ্ঠ আহত বাদল মিয়াকে প্রথমে জরুরি বিভাগের নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে নিয়ে যান। সেখানে তার মাথার চিকিৎসা করিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে একটি ট্রলি ব্যবস্থা করে তাকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় নাক কান গলা বিভাগে নিয়ে যান। সেখানেও বাদল মিয়ার চিকিৎসা শেষে তাকে আবার নিয়ে যাওয়া হয় ওই তৃতীয় তলার পাশে চক্ষু বিভাগে। সেখানেও চোখের চিকিৎসা করা হয়।
পুলিশ কনস্টেবল মানিক মিয়া জানান , বয়োজ্যেষ্ঠ বাদল মিয়া গরিব মানুষ। দুর্ঘটনার কারণে তার মাথা, মুখমণ্ডল ও হাত দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে রক্ত পড়ছিল। দেখে খুবই মায়া লাগলো। কেউ নেই তার। এত বড় হাসপাতাল কোথায় যাবে। তার আহতর ধরন দেখে তাকে হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু স্যার সবসময় বলেছেন, জরুরি বিভাগে ডিউটি করার সময় কোন অসহায় রোগী আসলে তাদের সবার আগে চিকিৎসার সহযোগিতা করার জন্য।
এই বিষয়ে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া বলেন, লোকটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্ত ঝরছিল। পুলিশের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তার ওষুধের ব্যবস্থা আমার তরফ থেকে করে দেওয়া হয়েছে। সে ঠিকমতো কথা বলতে পারেনা। তাছাড়া তার কোনো স্বজনের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
এদিকে জরুরি বিভাগ থেকে একটি সূত্র জানায়, ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক স্যার ওনার কড়া নির্দেশ আছে, কোন অসহায় ও দরিদ্র রোগী হাসপাতালে আসলেই সব কিছুই ফ্রিতে করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২২
এজেডএস/ইআর