গোপালগঞ্জ গোপালগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসকের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। এসব ভুয়া চিকিৎসকরা জেলা জুড়ে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
গত দুই মাসে এমন তিন ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে সাজা দিয়ে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শহরের কলেজ মসজিদ রোডের সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে মো. গোলাম মাসুদ মৃধা নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন খান ভুয়া ডাক্তারকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলা কারাগারে পাঠান।
ওই ভুয়া চিকিৎসক ইন্টিগ্রেটেড, চর্ম, যৌন, কুষ্ঠ, অ্যাজমা ও এলার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতি শুক্রবার রোগী দেখতেন। তিনি খুলনা থেকে আসতেন এবং রোগীদের কাছ থেকে ৬শ টাকা ভিজিট নিতেন। ওই চিকিৎসকের পিএইচডিসহ এহেন ডিগ্রি আছে, যা তার নাই। এছাড়া তিনি রোগীদের অযথা স্টেট ও ওষুধ লিখতেন। এতে সাধারণ রোগীরা প্রতারিত হতেন।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর শহরের চৌরঙ্গীস্থ দেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মো. সামসুদ্দিন নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া গত ৮ সেপ্টেম্বর শহরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল রোডের সেতু ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাহমুদুল আলম বাবুল নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এই তিনটি অভিযানই পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন খান।
ওই বিচারক জানান, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা প্রাকটিস করার মতো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল ২০১০ আইন এর পরিপন্থী হওয়ায় ওই তিন ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তারা নামের সঙ্গে বিভিন্ন ডিগ্রি লাগিয়ে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। এতে সাধারণ রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। আগামীতে ভুয়া চিকিৎসক ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২২
আরএ