ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নানা আয়োজনে ফরিদপুর পলিটেকনিকের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২২
নানা আয়োজনে ফরিদপুর পলিটেকনিকের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব 

ফরিদপুর: নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের (ফপই) ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালিত হয়েছে।  

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) জেলা শহরের বায়তুল আমানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ফপই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে।

প্রায় ১৬শ অ্যালামনাই সদস্য এতে যোগ দেন।  

সকালে জাতীয় ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পতাকা উত্তোলনের পর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।  

ফপই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, ফপই অধ্যক্ষ মো. আককাছ আলী, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম কুমার সাহা, ফপই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জের সাবেক এমপি এবিএম আনোয়ারুল হক প্রমুখ।  অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অ‍্যালামনাই অ‍্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী মো: কামরুল ইসলাম লিখন ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বিশ্বে উপযুক্তভাবে টিকে থাকার জন্য সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তাহলে উন্নত বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হবে। অন্যথায় ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে পারবো না। এজন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যতানে এগিয়ে যেতে হবে।

ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জের সাবেক এমপি এবিএম আনোয়ারুল হক তাঁর বক্তব্যে সেই সময়কালের স্মৃতিচারণ করেন। এছাড়া এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী না হলেও অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে এসে বিভিন্ন স্মৃতিকাতরতায় মুখরিত হয়ে ওঠেন অনেকে। বিশেষ করে রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স শাখার পূর্বপাশে অবস্থিত এই ক্যাম্পাসের নানা স্মৃতিচারণা করেন রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরাও।

৫০ বছর পূর্তি উৎসবে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে যোগ দেন অনেক সাবেক শিক্ষার্থী। সারাদিন আনন্দঘন পরিবেশে পুরনো সহপাঠী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্মৃতিময় সময় কাটান তারা। সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।  

ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. আককাছ আলী জানান, ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ফরিদপুর টেকনিক্যাল কলেজ। ১৯৬৭ সালে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নামে এর যাত্রা শুরু হয়। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি ৫০ বছর পূর্তি করে। ৩০ জন ছাত্র নিয়ে যাত্রা শুরু প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৬টি সেকশনে ৪ হাজার ৮শ' শিক্ষার্থী রয়েছেন। ২৫টি ওয়ার্কশপে পুরনো যন্ত্রপাতি ছিল। তিনটি ওয়ার্কশপ অত্যাধুনিক করা হয়েছে। আরও পাঁচটি অত্যাধুনিক করা হবে শিগগিরই।  

এখানে পাঁচটি হোস্টেল রয়েছে যার মধ্যে দুটি ছেলেদের এবং তিনটি মেয়েদের। শিক্ষক ও কর্মচারী মিলিয়ে ৩৮৩টি পদ রয়েছে। নির্দিষ্ট কারিকুলামের পাশাপাশি ডিবেট ক্লাব, ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, রোভার স্কাউট কার্যক্রমসহ নিয়মিত কালচারাল প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থী অনুপাতে নানাবিধ সংকটও রয়েছে বলে অধ্যক্ষ তার বক্তব্যে জানান।

ফপই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালে ৫০ বছর পেরোনোর পর অত্র ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠন করে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজকের এ অনুষ্ঠানে তার বাস্তবায়ন হলো।  

এদিকে প্রতিষ্ঠানটির সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল বাংলাদেশের শীর্ষ অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজ২৪.কম, যমুনা
টেলিভিশন, চ্যানেল২৪ টেলিভিশন, দৈনিক সমকাল পত্রিকা ও এফএম রেডিও ফুর্তি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।