মাগুরা: চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কাটগড়ে বঙ্গোপসাগরের বর্হিনোঙরে লাইটারেজ জাহাজ ‘এমভি সুলতান সানজা’ ডুবিতে নিহত ও নিখোঁজের ঘটনায় মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মন্ডলগাতী, খলিশাখালি ও বাবুখালী ইউনিয়নের দাতিয়াদাহ গ্রামে তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার এবং আরও ৩ জন নিখোঁজের খবরে জাহাজে কর্মরত মাগুরার মহম্মদপুরের মন্ডলগাতী, খলিশাখালি ও দাতিয়াদাহ গ্রামের পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জাহাজে কর্মরত উপজেলার যশোবন্তপুর গ্রামের রুবেল এবং খলিশাখালী গ্রামের রবিউল ইসলাম সাঁতরে তীরে উঠতে পারায় প্রাঁণে বেঁচে গেছেন। রুবেল যশোবন্তপুর গ্রামের মৃত লুলু মিয়ার ছেলে।
তিনি পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে তারা পাথর নিয়ে জাহাজে করে তীরে যাচ্ছিলেন। পেছন থেকে অন্য একটি লাইটারেজ জাহাজের আঘাতে তাদের জাহাজটি ডুবে যায়। সে সময় ওই জাহাজে মহম্মদপুর উপজেলার মোট ৮ জন কর্মরত ছিলেন। তার সঙ্গে রবিউল সাঁতরে তীরে ওঠতে পেরেছেন। মহম্মদপুরের নিখোঁজ ৬ জনের মধ্যে শুধু নাজমুলের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে। অন্য ৩ টি মরদেহ বিকৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়ায় চেনার উপায় নেই।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। মাত্র ১০ দিন আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নাজমুল বাড়িতে এসেছিলেন। পরে চট্টগ্রামে কাজের উদ্দেশ্যে চলে যান।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। দাপ্তরিকভাবে কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে নাজমুল নামে মাগুরার মহম্মদপুরের দাতিয়াদাহ গ্রামের একজনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২২
এমএমজেড