ঢাকা: রাজধানীর ওয়ারীর একটি বাসা থেকে খাদিজা আক্তার কেয়া (২৫) নামের এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিনগত রাত ১টার দিকে ওয়ারীর র্যাংকিং স্ট্রিটের একটি বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বাড্ডার বড় বেড়াইদের চাদারটেক এলাকার মো. আক্তার মিয়ার মেয়ে খাদিজা। তবে পরিবারটি বর্তমানে ওয়ারীর ওই বাসায় ভাড়া থাকেন।
নিহত তরুণীর ছোট ভাই মো. ইমন হাসান জানান, দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মেজ ছিলেন খাদিজা। ৫-৬ বছর আগে তার ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকে ছয় বছরের এক মেয়ে নিয়ে তাদের সঙ্গেই থাকতেন তার বোন। তন্ময় নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার দীর্ঘ আড়াই বছরের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তিনি তাকে বিয়ে করবে বলেও আশ্বস্ত করেছিলেন। তবে বেশ কিছুদিন যাবত তন্ময় তাকে খুব সন্দেহ করতেন। এ কারণে খাদিজার বেডরুমে ছয় মাস আগে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরাও লাগান তন্ময়।
তিনি জানান, শুক্রবার দিনগত রাতে খাদিজা ও তন্ময়ের মধ্যে মোবাইল ফোনে কোনো একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এরপর অনেক কান্নাকাটি করেন খাদিজা। রুমের দরজা বন্ধ করা শুয়ে পড়েন। রাতে পরিবারে লোকজন তাকে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে গেলে খাদিজার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
মৃতদের সুরতহাল প্রতিবেদনে ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খালেদা আক্তার সাথী বলেন, শুক্রবার দিনগত রাতে রুমের খাদিজা ফাঁস দিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন হাওলাদার বলেন, মেয়েটির সঙ্গে একটা ছেলের সম্পর্ক ছিল বলে শুনেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি আত্মহত্যা তবুও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে বেডরুমের সিসি ক্যামেরা লাগানোর বিষয়টি নিয়ে পুলিশ অবগত নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
এজেডএস/ইআর