ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবীতে ট্রাফিক পুলিশের ওপর ও পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু মানুষের ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি মিরপুর বিভাগ।
ডিবি পুলিশ জানায়, পুলিশের মনোবল ভাঙার উদ্দেশ্যে কিছু মানুষের ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে। হামলা ও হামলার উস্কানিতে জড়িতদের অনেকেই ঢাকার বাইরে আত্মগোপন করেছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গ্রেফতাররা হলেন—জনি ইসলাম, রাসেল মিয়া, সুরুজ, মো. আক্তার, শমসের উদ্দিন, মো. রনি, মো. কালিম, মাসুদ রানা ও মো. সাম।
শনিবার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, কিছু বড় ভাইয়ের ইন্ধনে তারা এ হামলায় অংশ নেয়। পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট, মনোবল ভাঙার উদ্দেশ্যেসহ সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এই হামলা করা হয়েছে।
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, একজন বয়স্ক ও পঙ্গু ব্যাটারিচালিত রিকশাচালককে ট্রাফিক পুলিশ মারধর করেছে—এমন অপপ্রচারে হামলা করা হয়। পরে অবৈধ রিকশার মালিক, চালক ও মোটর ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা উত্তেজনা ছড়িয়ে হামলায় ইন্ধন দেয়।
ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে কাজ করছিলেন পুলিশ সদস্যরা। হামলা ও উস্কানিতে জড়িত অনেকেই ঢাকার বাইরে আত্মগোপন করেছেন। তাদের কারও কারও নাম পাওয়া গেছে, সেটা ধরে তদন্ত চলছে বলে জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার।
তিনি বলেন, যারা পুলিশের মনোবল নষ্ট করতে চায়, হামলা করে কার্যক্রম বন্ধ করতে চায় তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে সেই বড় ভাইরা কোনো রাজনৈতিক দলের কিনা এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। গ্রেফতারদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
শুক্রবার মিরপুরে ৫টি পুলিশ বক্সে হামলা-ভাঙচুর ও দুই ট্রাফিক সদস্যকে মারধরের ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ওই এলাকা থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
পিএম/এমজেএফ