বরিশাল: জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কক্ষে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধা পেয়ে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে বাদানুবাদে লিপ্ত হন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
ভোটকেন্দ্রে একসঙ্গে একাধিকজনকে নিয়ে প্রবেশ করতে গেলে সোমবার (১৭ অক্টোবর) বরিশাল জিলা স্কুল কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ বিনা ভোটে সদ্য নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নুসহ কয়েকজনকে নিয়ে কেন্দ্রের দিকে যান।
ভোটকক্ষের প্রবেশের গেটে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম অনুরোধ জানান, যেন একাধিক ভোটার নিয়ে মেয়র প্রবেশ না করেন।
এরপরে ভোট কক্ষের সামনে পৌঁছালে ইউএনও মনিরুজ্জামান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে জানান, ভোটকেন্দ্রে একাধিক ভোটার নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
এসময়ে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি কি ঢুকছি এখানে ? আমি কি ঢুকছি ? কেন সিন ক্রিয়েট করতেছেন ? আপনি কে ? আমি কি ঢুকছি ? তারপরও আপনি কথা বলতেছেন। আমি কি বাচ্চা শিশু? যেভাবে ভাবটা ধরেন তাতে বুঝায় দল বাইধা ঢুকতেছি। ভোটার হইছে ১৭৪ জন। তাহলে সমস্যা কোথায় আপনাদের ?’
এরপর আরও কিছু কথপোকথনের পর ইউএনও মনিরুজ্জমান মেয়রকে বলেন, আপনাকে কিছু বলিনি স্যার।
এরপরে মেয়র কক্ষে প্রবেশ করেন ভোট দেওয়ার জন্য ।
আর এই পুরো ঘটনা সিটি মেয়রের ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভ করা হয়। যেখানে ইউএনওর সাথে বাদানুবাদ শেষে মেয়র কক্ষে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যেতে দেখা যায়।
মেয়রের ফেসবুক আইডির লাইভে এই ভিডিও ক্লিপ মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও মোবাইলে ইউএনও মনিরুজ্জামান বাগবিতণ্ডার কথা অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি বরিশাল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং অফিসার নুরুল আলম। তবে তিনি ভোট কেন্দ্রে ফেসবুক লাইভ করার কোনো বিধান নেই বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়:১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২২
এমএস/ইআর