চাঁদপুর: এক জেলেকে আটকের ঘটনায় চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় জেলেদের সঙ্গে হরিণাঘাট নৌ-ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের সংঘর্ষ হয়েছে।
এ সময় জেলেদের সঙ্গে স্থানীয়রা একজোট হয়ে নৌ-পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে মেঘনায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে মাঝ নদী থেকে মাছসহ সোলেমান দর্জি (৪০) নামে এক জেলেকে আটকের দাবি করেছে নৌ ফাঁড়ির পুলিশ। পরে তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসার সময় স্থানীয় একটি মহল নৌ-পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- হরিণাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাবুল বালা, ফখরুল, কনস্টেবল যোবায়ের, হানারচর ইউপি সদস্য আবুল বাশার, স্থানীয় শাহজালাল, তামিম, আলাউদ্দিন, ইসমাইল, কাউছার ও সোহাগ।
আটককৃতরা হলেন- সলেমান দর্জি (৩৫), সফিক হাওলাদার (৩২) ও মো. সোহাগ খান (২৪)।
এদিকে হরিণাঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও নিয়ে স্থানীয়রা জানান, দাদনের ৫ লাখ টাকা নিয়ে ট্রলারচালক সোলেমান এলাকায় আসার সময় তার কাছ থেকে সেই টাকা ছিনিয়ে নেয় হরিণাঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। শুধু তাই নয়, তাকে ব্যাপক মারধরও করা হয়েছে।
তারা আরও জানান, এছাড়া নিরপরাধ দোকানদার সোহাগসহ আরও একজনকে জেলে সাজিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তারা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত নৌ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করে জানান, পুলিশের এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইনানুগ ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জানিয়েছেন হরিণাঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনাকালে মাছসহ ১ জেলেকে আটক করি। পরে তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসার সময় স্থানীয় একটি মহল ফাঁড়ি ঘেরাও করে হামলা চালিয়েছে। আমরা ২ রাউন্ড গুলি ফাঁকা ছুড়েছি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় ৫ জনকে আটক করা হয়। তবে, জেলের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২২
এমএমজেড