ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

রাজবন বিহারে ৩ ও ৪ নভেম্বর কঠিন চীবর দানোৎসব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
রাজবন বিহারে ৩ ও ৪ নভেম্বর কঠিন চীবর দানোৎসব

রাঙামাটি: পার্বত্য জনপদের অন্যতম জেলা রাঙামাটির রাজবন বিহারে চলতি বছরের ০৩ থেকে ০৪ নভেম্বর দু’দিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।  

সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাজবন বিহার শাখার উপাসক-উপসিকা পরিষদের পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়।

আড়ম্বর আয়োজনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উৎসবটি সফল করার লক্ষ্যে সবরকম প্রস্তুতি শেষ করা হচ্ছে।

উৎসবটি পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার প্রত্যন্ত এলাকার বিহারে বিহারে চলছে নানা আয়োজন। কঠিন চীবর দানকে ঘিরে পাহাড়ি পল্লীগুলোতে বইছে উৎসবের আমেজ। উৎসবে মেতে উঠেছেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছাড়াও বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ। সাধু সাধু ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে মন্দিরগুলো।

বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস থেকে জানা গেছে, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে প্রচলন হয় কঠিন চীবর দান। গৌতম বুদ্ধের তৎকালীন শীর্ষ বিশাখা দেওয়ান ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে সে সুতা রং করে আগুনে শুকিয়ে কোমড় তাঁতে চীবর বুনে তা গৌতম বুদ্ধকে দান করেন। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় গেরুয়া কাপড়কে বলা হয় চীবর। চীবর হচ্ছে ভিক্ষুদের পরিধীয় বিশেষ রঙিন কাপড়।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে চীবর তৈরির কঠিন কাজটি সম্পাদন করতে হয়ে বলে একে কঠিন চীবর দান বলা হয়। বৌদ্ধদের বিশ্বাস কঠিন চীবর দান করতে পারলে ইহকাল ও পরকালে নির্বাণ তথা মুক্তি লাভ করা সম্ভব। পার্বত্য এলাকার বৌদ্ধরা এ উৎসব পালন করে প্রাচীন নিয়মে।

রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, পার্বত্য এলাকায় সবচেয়ে জাঁকজমকভাবে কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন করা হয়। চলতি বছরের ০৩ থেকে ০৪ নভেম্বর দুদিনব্যাপী রাঙামাটির রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। জেলা পরিষদ সব প্রস্তুতি শেষ করার লক্ষ্যে ১৭ অক্টোবর জেলার সব প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।