ঢাকা: শেখ রাসেলকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, পৃথিবীর আর কোনো দেশেই এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের সব শিশুকে বেচেঁ থাকার অধিকার দিতে হবে।
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দূরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সারা পৃথিবীতে এখন যুদ্ধংদেহী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতেই এ সমস্যা বেশি। হিংসা, বিদ্বেষ আর ক্ষমতার লড়াইয়ে নেমেছে কেউ কেউ। তাই মানুষে মানুষে হিংসা বিদ্বেষ কমাতে হবে। সে কারণে শান্তির সংস্কৃতি প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ। আমরা এই লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে চাই।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রতি বছর দুঃখ ভারাক্রান্ত ভাবে রাসেল দিবসের আলোচনা করি। বঙ্গবন্ধু বার্ট্রান্ড রাসেলের নাম অনুযায়ী তার এই নাম রাখেন। সেই সময়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছিলেন বার্ট্রান্ড রাসেল। বঙ্গবন্ধু শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী বলেই তার পুত্রের নাম রাখেন রাসেল।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস বলেন, শেখ রাসেল নির্মম ভাবে নিহত হয়েছিলো। তার মতো শিশুরা যেন আনন্দে পৃথিবীতে বেচেঁ থাকতে পারে, এটাই আমাদের একান্ত চাওয়া।
নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী এক ভিডিও বার্তায় বলেন, শেখ রাসেলকে হত্যার ঘটনা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। শেখ রাসেলের মতো কোনো শিশুর ভাগ্যে এমন ঘটনা না ঘটে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
শেখ রাসেলের সহপাঠী হাফিজুল হক বলেন, শেখ রাসেল স্কুলে বন্ধুদের হাওয়ায় মিঠাই বিলিয়ে দিয়ে আনন্দ পেত। সে একজন বাদামওয়ালাকে টিফিন দিয়ে দিতো। তবে রাসেলের মৃত্যুর পর অনেক দিন, তাকে নিয়ে আমরা আলোচনাও করতে পারতাম না। মধ্যে মধ্যে আমাদের সহপাঠীদের অনেকেই আফসোস করতো ‘রাসেল মরে গেল’!
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
আলোচনা সভার শুরুতে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
টিআর/এসএ