ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়েছে এম ভি ট্রান্স সমুদেরা

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়েছে এম ভি ট্রান্স সমুদেরা

ঢাকা: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয় থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড হয়ে আসা ভারতীয় ট্রানজিট কনটেইনারবাহী জাহাজ ‘এম ভি ট্রান্স সমুদেরা’ চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়েছে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।

 কার্গোর এই চলাচল ২০১৮ সালে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি কার্যকর করার লক্ষ্যে গৃহীত ট্রায়াল রানের অংশ। এই ট্রায়াল রানগুলো ডাউকি-তামাবিল-চট্টগ্রাম রুটে টাটা স্টিল এবং সি জে ডারসেল লজিস্টিকস লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।

 চুক্তির অধীনে পণ্য পরিবহনের জন্য আটটি অনুমোদিত রুট রয়েছে। চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা, চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর থেকে তামাবিল হয়ে ডাউকি, চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর থেকে শেওলা হয়ে সুতারকান্দি, চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর থেকে বিবিরবাজার হয়ে শ্রীমন্তপুর এবং এর বিপরীতে চারটি রুট।  ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময়, চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য একটি এসওপি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির অধীনে চট্টগ্রাম-আখাউড়া-আগরতলা রুটে প্রথম ট্রায়াল মুভমেন্ট ২০২০ সালের জুলাই মাসে সফলভাবে পরিচালিত হয়েছিল যেখানে চারটি কন্টেইনার, যেগুলোর দুইটিতে টিএমটি স্টিল এবং দুইটিতে শস্যদানা কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আইসিপি আগরতলায় পৌঁছানো হয়েছিল।

 এই চুক্তির অধীনে পণ্যের ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহনের খরচ এবং সময় উভয়ই কমিয়ে দেবে।  এটি বাংলাদেশের লজিস্টিকস এবং সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির (বীমা, পরিবহন এবং ফিনান্স ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি) জন্য অর্থনৈতিক লাভও সৃষ্টি করবে। কারণ ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য শুধুমাত্র বাংলাদেশের ট্রাক ব্যবহার করা হবে।

এই ট্রায়াল রানটি এ চুক্তির অধীনে সব অনুমোদিত রুটে সব ট্রায়াল রানের সমাপ্তিকে চিহ্নিত করে৷ মোংলা-তামাবিল-ডাউকি, মোংলা-বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর এবং চট্টগ্রাম-শেওলা-সুতারকান্দি রুটে ট্রায়াল রানগুলো পরিচালিত হয়। ট্রায়াল রানের এ সমাপ্তির পরে, চুক্তিটির অধীনে পণ্যের নিয়মিত চলাচলকে কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এখন প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল স্থায়ী আদেশ-বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে যে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছিল তা বাস্তবায়নে এটি একটি অগ্রসর পদক্ষেপ।

 বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
টিআর/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।