ঢাকা: মশক নিধন অভিযানের দ্বিতীয় দিনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৫টি মামলায় ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
ডিএনসিসি জানায়, অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন আগারগাঁও এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত এবং রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করায় অপর একটি মামলায় এক লাখ জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৪ এর ১১ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুর নতুন বাজার, পূর্ব মনিপুর এলাকায় অভিযানকালে প্রায় ১০৫টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে।
একটি বাড়িতে লার্ভা পওয়ায় একটি মামলায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী এ অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও জানা যায়, অঞ্চল-৬ এর উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন। উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে তিনটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ সময় ভবন মালিককে দুটি মামলায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া অঞ্চল-৯ এর খিলবাড়িরটেক এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। তিনটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসি জানায়, অঞ্চল-৩ এর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে একটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন রূপনগর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-১ এর কুড়িল এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিততভাবে এডিশ বিরোধী অভিযানে ছয়টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং তিনটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়া সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান ও উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
বাংলাদে সময়: ২১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
এমএমআই/আরবি