নাটোর: সেনাবাহিনীতে ‘স্টোরম্যান ও অফিস সহকারী’ পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগে দুই প্রতারককে আটক করেছে র্যাব।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-নাটোরের লালপুর উপজেলার পানঘাট গ্রামের মো. আকছেদ কাজির ছেলে মো. নুরুল ইসলাম (৩৮) ও বড়াইগ্রাম উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের মো. জুলফিকার গাজীর ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৬)।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)-এর দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সোমবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাতে জেলার লালপুর উপজেলার পানঘাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিপিসি-২ র্যাব-৫, নাটোর ক্যাম্প, কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন ও কোম্পানি উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।
এসময় তিনটি ভুয়া নিয়োগপত্র, একটি চুক্তিনামা, দু’টি মোবাইল ফোন ও চারটি সিমকার্ড জব্দ করা হয় তাদের কাছ থেকে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নুরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম মিলে চাকরি প্রত্যাশী অনুপ কুমার হালদার (২৮) ও মো. মনোয়ার হোসাইন (২২) নামে দুই যুবককে সেনাবাহিনীতে স্টোরম্যান ও অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দু’জনের কাছ থেকে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
একই সঙ্গে ওই পদের দু’টি ভুয়া নিয়োগপত্রও দেন তাদের। এতে সেনাবাহিনীর লোগোযুক্ত বি আর ইউ/এ আর টি, ডি এ এজি (রিক্রুটিং), ঢাকা সেনানিবাস, ইং- ১৭/০৪/২০২২ লেখা ও চাকরির শর্তাবলিসহ আরও অনেক কিছু লেখা আছে। পরে চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগপত্রে উল্লেখিত যোগদানের তারিখে সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগদানের জন্য যোগাযোগ করলে বুঝতে পারেন যে এসব ভুয়া।
এছাড়া প্রতারক নুরুল ইসলাম সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক। সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সুবাদে প্রতারক তিনি ও তার সহযোগী মো. সাইফুল ইসলাম এমন ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন।
পরে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা র্যাবকে জানান, তারা চাকরি প্রত্যাশীদের অর্থের বিনিময়ে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে কম্পিউটারে এডিটিং করে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করতেন। এ ব্যাপারে লালপুর থানায় তাদের নামে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
এসআই