ঢাকা, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ মে ২০২৪, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

আইইউবিতে কোরিয়ার ভাষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র চালু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২২
আইইউবিতে কোরিয়ার ভাষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র চালু ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা ও সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র ‘কিং সেজং ইনস্টিটিউট’ চালু হলো রাজধানীর ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি)-এ। এর মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণ সহজেই দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা শিখতে পারবেন ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হবে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর অডিটোরিয়ামে এই ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তানভীর হাসান, বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, কোরিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশে আইইউবি ভূমিকা পালন করছে। আমি আশা করি, এই ইনস্টিটিউট স্থাপনের মাধ্যমে দুই দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে যোগ্য ও দক্ষ হবেন। আমাদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হতে হবে। আমরা বিজয়ী জাতি, আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। সততা, ন্যায্যতা, সহমর্মিতা, পরমতসহিঞ্চতা এই সবগুলোকে নিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুন বলেন, বাংলাদেশে প্রথম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আইইউবি এই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ শুরু করলো। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাজ শুরু করেছে। আগামী ৫ বছরে এই ইনস্টিটিউট এবং এর লাইব্রেরি আরও সমৃদ্ধ করা হবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য যুবদের এই ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পাবে। শ্রমখাতে কোরিয়া বাংলাদেশের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য জায়গা এবং আমরা এই অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে আগ্রহী যুবদের মাধ্যমে। বর্তমানে কোরিয়াতে অসংখ্য শিক্ষার্থী আছে এবং তাদের অধিকাংশ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষক কোরিয়ান ডিগ্রি নিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। দিনে দিনে কোরিয়াতে উচ্চশিক্ষার দ্বার আরও উন্মোচিত হচ্ছে। সেদিক থেকে এই ইনস্টিটিউট গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমি আশা করি।

আইইউবি উপাচার্য তানভীর হাসান বলেন, আইইউবিতে কিং সেজং ইনস্টিটিউট স্থাপনের সুযোগ পাওয়া অনন্য সম্মান। এটি আইইউবির গোয়িং গ্লোবাল ও কমিউনিটি এনগেজমেন্ট কর্মকৌশলের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি চালু হলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সবার জন্য সহজে কোরিয়ান ভাষা শেখার সুযোগ তৈরি হবে।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ‘উইন্ডো অন কোরিয়া’ অনুদান পায় আইইউবি। সেই অনুদানের অর্থে ক্যাম্পাসে একটি ‘কোরিয়া কর্নার’ স্থাপন করা হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয়টির কমিউনিটি এনগেজমেন্ট কর্মকৌশলের অংশ। এখানে দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন উপকরণ রাখা হবে, যা থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২২
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।