গোপালগঞ্জ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ২৬ অক্টোবর প্রেসক্লাবে কলামিস্টদের একটি অনুষ্ঠানে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি, তা মিডিয়ার হেডলাইনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। হেডলাইনগুলোতে বলা হয়েছে, আমেরিকা যুদ্ধবাজ, অমুক–তমুক, এসব কথা আমার মুখে আসেনি।
এসময় তিনি সংবাদিকদের দুর্বল ও অপরিপক্ব উল্লেখ করে গবেষণা করার উপদেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে সাংবাদিকতা যারা করেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে। এদের পরিপক্বতা দরকার। যে সাংবাদিকরা এটা করেছেন তাদের জন্য এটা লজ্জার বিষয়।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে সাবেক রাষ্ট্রদূতদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার বিসিএস (এফএ) অ্যাম্বাসেডর্স (এওফা) এর সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা হয় বাংলা বোঝেন না অথবা ইচ্ছা করে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা করেছেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে। মিথ্যা প্রচারণার ফলে যে অসুবিধা হয়েছে তা হলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করবে আমরা তাদের শত্রু। যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে শত্রু বানানোর জন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে।
খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এজন্য সাংবাদিকদের গবেষণা করা উচিত। যা হোক এটা দুঃখের বিষয়।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে সাবেক রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে তারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার বিসিএস (এফএ) অ্যাম্বাসেডর্স (এওফা) এর প্রেসিডেন্ট শমসের মবিন চৌধুরী, সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হাসান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুন্সি আতিয়ার রহমান, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
আরএ