লক্ষ্মীপুর: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রাতে ঝড়ো বাতাসে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে বসতঘর। এখন নতুন করে সে ঘর উঠাতে পারছেন না নুর আলম নামে এক ব্যক্তি।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নন্দী গ্রামের বল্যার বাড়ির বাসিন্দা নুর আলমের বসতঘরটি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রাতে পড়ে যায়। তবে ঘরটি জরাজীর্ণ এবং ঝুঁকি থাকায় ঘরের বাসিন্দারা অন্য ঘরে আশ্রয় নেওয়ায় প্রাণ রক্ষা পায়।
কিন্তু এখন ঘরটি নতুন করে উঠাতে গেলে বাধা দেন নুর আলমের বড় ভাই আবদুস সাত্তারের ছেলে সোহেল ও রিপন। কয়েক মাস আগেও ঘরটি মেরামত করতে গেলে বাধা দেন তারা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একাধিক বৈঠকও হয়েছে।
নুর আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমার কোনো ছেলে নেই। চার মেয়েকে নিয়ে বাবার বসতঘরে থাকি। ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। ঘরের দক্ষিণ পাশে খালি জায়গা আছে, সেটি আমার বাবা আমাকে রেজিস্ট্রি করে দিয়ে গেছেন। আমি সেই খালি জায়গাসহ ঘরটি নির্মাণ করতে গেলে ভাতিজারা আমাকে বাধা দেন। খালি জায়গাটি বেড়া দিয়ে দখল করে নেন আমার ভাতিজারা। তাই আমি ঘরের কাজ করাতে পারিনি। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রাতে ঘরটি পড়ে যায়। এখন আমি আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছি।
নুর আলম ও তার বাড়ির লোকজন জানায়, নুর আলমের বাবা মৃত আহম্মদ উল্লাহ ২০০৪ সালে পুরনো ঘরসহ ১৩০২ নম্বর খতিয়ানের সাবেক ১৮২৩ দাং ৩০৯২ দাগে ৯ শতাংশ জমি তাকে হেবা করে দেন। কিন্তু সে জমির একাংশ তার ভাতিজা সোহেলদের দখলে রয়েছে।
নুর আলমের ভাই মোস্তফা বলেন, এই সম্পত্তি আমাদের বাবা আমার ছোটভাই নুর আলমকে দলিল করে দিয়েছেন। আমার ভাই আব্দুস সাত্তারের সন্তানরা নুর আলমকে ঘর করতে দিচ্ছে না।
স্থানীয় নুর হোসেন বলেন, নুর আলমকে তার বাবা আহাম্মদ উল্যা ঘরসহ এই সম্পত্তি সাব-কাবলা করে দেন। এর এক বছর পর অন্য ছেলেদেরকেও জায়গা সমান ভাগে ভাগ করে দিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে নুর আলমের ভাতিজা অভিযুক্ত সোহেল বলেন, আমরা আমাদের সম্পত্তিতে সীমানা দিয়েছি। চাচা নুর আলমের জায়গা পেছনে রয়েছে। তিনি চাইলে সেদিকে ঘর তুলতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বলেন, চাচা-ভাতিজার সম্পত্তির বিরোধের বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। আমি একটা সমাধান দিয়েছি, কিন্তু দুই পক্ষের মতানৈক্য হওয়ায় আবার বসার কথা রয়েছে। আশা করছি বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
আরএ