কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে চাঞ্চল্যকর প্রশ্নফাঁসে জড়িত ছয় শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ও এমপিও স্থগিত এবং এক শিক্ষককে বরখান্তের নির্দেশ দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) এ আদেশ হস্তগত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম বাংলানিউজকে জানান, এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার ঘটনায় কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলাধীন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও এবং বেতন স্থগিত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে খণ্ডকালীন এক শিক্ষককে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের ১ নভেম্বরের সই করা আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, ভুরুঙ্গামারী উপজেলাধীন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষক-কর্মচারী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর ধারা ১৮.১ (গ) এর পরিপন্থি অপরাধের জন্য তাদের এমপিও স্থগিতের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
শিক্ষক কর্মচারীরা হচ্ছেন- প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আমিনুর রহমান, কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হামিদুর রহমান, বাংলা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সোহেল আল মামুন, অফিস সহকারী মো. আবু হানিফ এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মো. সুজন।
অফিস আদেশে এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও স্থগিতের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সাধারণ প্রশাসন শাখার উপ-পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া একই বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্ম বিষয়ের খণ্ডকালীন সহকারী শিক্ষক জুবাইর হোসাইনকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আলোচিত প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা বিভাগ দু-দফা তদন্ত করেছে। সেই তদন্ত রিপোর্টের আলোকে অভিযুক্তদের সাত দিনের সময় দিয়ে শোকজ করা হয়েছে।
শোকজের জবাব পাওয়ার পর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এ আদেশ দেন।
বাংলাদশে সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২২
এফইএস/এএটি