ঢাকা: বঙ্গবন্ধু ও জেলহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার করায় প্রমাণ হয়েছে দেশে আইনের শাসন আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আর এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা সম্ভব হয়েছে বলেই দেশে অথনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারী মোস্তাক, জিয়াউর রহমান। এরাই কিন্তু জেলহত্যা ঘটিয়েছিল। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধেও বিজয়টাকে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। এই কারণে জাতির পিতার অনুপস্থিতিতে যারা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন তাদের হত্যা করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে। এরশাদও একই কাজ করেছে। খুনি ফারুককে রাজনৈতিক দল করতে দিয়ে তাকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করেছিল। ২১ বছর ক্ষমতায় এসে আমরা বঙ্গবন্ধু, জেলহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে পেরেছি। এখনও বঙ্গবন্ধুর কয়েকজন সাজাপ্রাপ্ত খুনি বিদেশে পালিয়ে আছে। আমাদের প্রচেষ্টা আছে তাদের ফিরিয়ে আনা। কিন্তু এ বিষয়ে না আমরা আমেরিকার, না কানাডার, না পাকিস্তানের সহযোগিতা পাচ্ছি। অথচ আজ আমাদের মানবাধিকারের বড় বড় কথা শুনতে হয়। তবে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা করেছি। এতে প্রমাণ হয়েছে দেশে আইনের শাসন আছে যা অতীতে ছিল না। বিচারের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে অভিসাপ মুক্ত করতে পরেছি। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে যদি আমরা সক্ষম না হতাম তাহলে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হতো না।
এ আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা বেনজীর আহমদ, তানভির শাকিল জয়, নাহিদ ইজহার, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, মশিউর রহমার রাঙা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২২
এসকে/এএটি