যশোর: যশোরের শার্শার ডিহি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মুকুলের বিরুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের মাজার সংস্কারের টাকাসহ কয়েকটি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
এসব অভিযোগ করে ইউনিয়নের সব মেম্বার তার প্রতি অনাস্থ প্রস্তাব এনে জেলা প্রশাসক ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের মাজার সংস্কারের নামে দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫৪২ টাকা আত্মসাত করেছেন।
হাটবাজার উন্নয়নের ৩৬ হাজার ৫৪২ টাকা এবং এলজিএসপি খাতে বরাদ্দ যুবকদের প্রশিক্ষণের এক লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সর্বশেষ প্রকল্পের ৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের চেষ্টা করেন। কিন্তু ইউনিয়নের মেম্বাররা সেটা উপজেলা ইউএনওকে অবহিত করলে তিনি টাকা আটকে দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদের সভায় কোনো আলোচনা না করে মেম্বারদের অগ্রিম হাজিরা খাতায় সই করে নেন চেয়ারম্যান ও সচিব। পরিষদের সব বিষয় কোনো সদস্যকে না জানিয়ে নিজের ইচ্ছামতো করেন চেয়ারম্যান। এছাড়া চেয়ারম্যান সব সময় মেম্বারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। ফলে চেয়ারম্যানের প্রতি সব মেম্বার অনাস্থা জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান, ইউপি মেম্বার হাফিজুর রহমান মল্লিক, আল-আমিন, ফারুক হোসেন, আব্দুল মান্নান, সিদ্দিক জামান লাল্টু, রিজাউল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, আজিজুর রহমান, সংরক্ষিত ইউপি মেম্বার মিনু খাতুন, রূপালী বেগম ও বিলকিস বেগম।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মুকুলের মোবাইল নম্বরে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা ইউএনও নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, মেম্বারদের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২২
ইউজি/এএটি