সিলেট: সিলেট জেলা বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কুটি মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (০৯ নভেম্বর) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. মাইনুল জাকির।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুটি মিয়াকে সিলেট সদর উপজেলার মংলির পাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নং আসামি। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
ওসি খান মো. মাইনুল জাকির বলেন, বিএনপি নেতা কামাল হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিহতের ভাই মইনুল হক বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আজিজুর রহমান সম্রাটসহ ১০ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি গ্রামের আজিজুর রহমান সম্রাট, একই এলাকার মো. হাফিজ, আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার শাকিল আহমদ, বাদাম বাগিচা এলাকার মিশু, গুয়াইপাড়া এলাকার কুটি ও মনা, বিশ্বনাথের আব্দুল আহাদ, খাদিম দাসপাড়ার মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, সদর উপজেলার রায়ের গাওয়ের আশরাফ সিদ্দকী এবং লালারগাওয়ের রুহুল আমিন শাওন।
অভিযোগে মইনুল হক উল্লেখ করেন, 'আম্বরখানার মান্নান সুপার মার্কেটে তাদের ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে লাহিন আহমদের 'লহিন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস' নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর আসামিরা এসে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায়। এ খবর পেয়ে কামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের ভাংচুর চালাতে নিষেধ করেন। '
'এসময় দু'পক্ষের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। আসামিরা সেদিন প্রকাশ্যে আমার ভাইকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরই জেরে ৬ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে আমার ভাই প্রাইভেটকারে বালুচরে নিজ বাসায় যাচ্ছিলেন। সেসময় বড়বাজার এলাকায় ৪/৫টি মোটরসাইকেল যোগে আসামিরা পিছু নেয়। এসময় তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করে। '
পুলিশ জানায়, গত রোববার (০৬ নভেম্বর) রাতে নগরের খাসদবির সংলগ্ন বড়বাজার ১১৮ বাসার সামনে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন আ ফ ম কামাল। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট আইন মহাবিদ্যালয়ের সাবেক জিএস ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২২
এনইউ/এমএইচএম