সিলেট: সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলায় বসত ঘর থেকে রাশিদা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের মালিগ্রামে নিজ পিত্রালয় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রাশিদা বেগম ওই গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর মেয়ে ও একই ইউনিয়নের পর্বতপুর গ্রামের মুজম্মিল আলীর ছেলে হাবিব আহমদের স্ত্রী।
সিলেটের কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রায় দেড় বছর পূর্বে রাশিদা বেগমের বিয়ে হয়। প্রায় ৩ মাস আগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এরপর থেকে রাশিদা বেগম মাথা ব্যথাসহ মানসিক ও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। উভয় পরিবার তার চিকিৎসা করায়। অসুস্থতা নিয়ে দেড় মাস থেকে তিনি পিত্রালয়ে অবস্থান করছেন, কিন্তু সুস্থ হননি। এমনকি তিন মাসের নবজাতক শিশুকেও বুকের দুধ পান করাতেন না।
নিহতের পিত্রালয়ের লোকজনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সপ্তাহ দিন থেকে রাশিদা বেগম খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেন। েবুধবার সকালে রাশিদা বেগম ঘুম থেকে ওঠার পর তাকে চা পান করতে দিলে ফেলে দেন। সকাল ১০টার দিকে পরিবারের ঘরের ভেতর রাশিদা বেগমের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।
খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার এএসপি (সার্কেল) আব্দুল করিম, ওসি তদন্তসহ পুলিশ ঘটনাস্থল যান। এরপর দুপুর ১২টার দিকে সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শেখ সেলিম ও সিআইডি এবং পিবিআই’র পৃথক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করে। এ সময় মরদেহের পাশ থেকে রক্তমাখা একটি বটিদা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর বেলা ২টার দিকে ময়না তদন্তের জন্য রাশিদার মরদেহ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো করা হয়।
থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাশিদা বেগম মানসিক বিকারগ্রস্থতা থেকে গলাকেটে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন এলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হওয়া যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২২
এনইউ/এএটি