নওগাঁ: নওগাঁর ধামইরহাটে বিদেশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া মানবপাচার চক্রের দুই মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প।
এর আগে বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার ফতেপুর বাজারস্থ পানহাটি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- ধামইরহাটের চকভবানী গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে আবুল হাসনাত (৩৭) ও ছহির উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৬০)।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, বিদেশে উচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে পাশের গ্রামের অহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ট্যুরিস্ট ভিসায় সৌদিতে পাঠান মানবপাচার চক্রের হাসনাত ও আজাদ। সৌদি আরবে যাওয়ার পর অহিদুলকে একটি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি একটি স্টোর রুমে প্রায় দুই শতাধিক লোক দেখতে পান। জানতে পারেন তিনি (অহিদুল) ভুয়া একটি কোম্পানির মাধ্যমে পাচার হয়ে বিদেশে এসেছেন এবং তারা তাকে ট্যুরিস্ট ভিসায় এনেছেন। ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ পার হয়ে গেলে তিনি সৌদি পুলিশের ভয়ে দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়ান। একপর্যায়ে সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের ২০ দিন পর সৌদি কারাগারে থেকে মুক্তি পেলে সৌদি সরকার তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়। পরে তিনি দেশে এসে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর র্যাব-৫ ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই একপর্যায়ে গতকাল বুধবার রাতে র্যাব-৫ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান এবং আর্টিলারি ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানার নেতৃত্বে উপজেলার ফতেপুর বাজারের পানহাটি এলাকা থেকে মানবপাচার চক্রের ওই দুই মূলহোতাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি করে ট্যুরিস্ট ভিসা, পাসপোর্ট ও সৌদি কারাগারের মুক্তিপত্র জব্দ করা হয়।
আরও জানা যায়, গ্রেফতার হাসনাতের ভাই আবুল হায়াত সৌদি প্রবাসী। এ সুবাদে বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন হাসনাত ও আজাদ। তাদের বিরুদ্ধে ধামইরহাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
এসআরএস