ঢাকা: ব্রাসিলিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্বান্ত অনুযায়ী ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস-কে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে পালনের সিদ্বান্ত গৃহীত হয়।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ব্রাসিলিয়ার দূতাবাস জানায়, সংবিধান প্রণয়ন ও কার্যকরের ৫০ বছর পূর্তিতে দূতাবাস আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবী সকলের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৪ নভেম্বর ১৯৭২ বাঙালি জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন এবং এই দিনকে জাতীয় সংবিধান দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দান একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্বাধীনতার পর অতি অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়েছিল। বাংলাদেশের সংবিধান একটি অত্যন্ত সুলিখিত এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্বলিত সম্পুর্ণ দলিল যা সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার নিয়ামক।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আমাদের সংবিধান আমাদের গর্ব, এর মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
দূতাবাসের সামরিক এটাশে কমোডোর সৈয়দ মিসবাহউদ্দিন আহমদ (সি) আলোচনায় অংশ নেন এবং বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস ও বিশেষত্ব তুলে ধরেন।
সবশেষে সংবিধান প্রণেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা , শহীদ বুদ্ধিজীবী, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২২
টিআর/এসআইএস