নীলফামারী: নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর ও গ্রাম এলাকায় শ্রমিকদের কাজের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে বতর্মান পণ্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এসব পরিবার অনেক কষ্টে জীবন-যাপন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন সকালে জেলা শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের স্মৃতি অম্লান চত্বরে, শেরেবাংলা সড়কের চৌধুরী টাওয়ার ও স্টেশনের সামনে বসে শ্রমের হাট। শহর ও গ্রামের বিভিন্ন এলাকার শ্রমজীবী মানুষ দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজের আশায় এসব স্থানে ভিড় করেন। এখানে আসার আগেও তারা জানেন না কাজ মিলবে কিনা। ইট ভাঙা, নির্মাণকাজ, রাজমিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রির সহকারী, টাইলস মিস্ত্রি থেকে শুরু করে এমন কোনো কাজ নেই, যা তারা করেন না। এখন কাজ কম থাকায় ৪০০-৫০০ টাকা মজুরিতে শ্রম বিক্রি করছেন হাটে আসা শ্রমিকরা। প্রতিদিন এসব হাটে অন্তত ১০০-১৫০ জন শ্রমিক আসেন। এর মধ্যে ৫০-৬০ জন কাজ পেলেও বাকিরা ফিরে যান।
দিনমজুর সরবরাহকারী ঠিকাদার মিজানুর রহমান বলেন, এখানকার অধিকাংশ শ্রমিকই নির্মাণকাজ করেন। কিন্তু নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন আগের মতো তেমন ভবন কিংবা বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে না। আবার কম টাকা মজুরিতেও কাজ নেই। ফলে অনেক কষ্টে কাটছে দিনমজুরদের জীবন-যাপন।
সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাষকান্দর গ্রামের শ্রমিক বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রতিদিন শহরে কাজের জন্য আসি। কোনোদিন কাজ পাই আবার পাই না। ফলে পাঁচ সদস্যের পরিবার বর্তমান বাজারে কষ্টে আছেন।
উপজেলার কামারপুকুরের কৃষি শ্রমিক শফিকুল ইসলাম বলেন, ধান কাটার জন্য আগাম টাকা নিয়ে এনজিওগুলোর কিস্তি দিচ্ছি। তবে ধান কাটতে এখনও সপ্তাহ খানেক বাকি আছে।
সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ শাহিন হোসেন বলেন, বর্তমানে গ্রামে কাজ না থাকায় ধান কাটা শ্রমিকরা ব্যাটারিচালিত ও প্যাডেল রিকশা-ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২২
এসআরএস